অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের সামনে মামুলি টার্গেট বাংলাদেশের

|

ছবি: সংগৃহীত

অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের সামনে ১২৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১২৭ রান করে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। লিটন-শান্ত’র ব্যাটে শুরুটা ভালোই করে টিম টাইগার্স। কিন্তু ৮ বলে ১০ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ছন্দে থাকা লিটন দাস।

লিটনের আউটের পর ক্রিজে আসেন সৌম্য। শান্ত’র সাথে ক্রিজে মানিয়ে নিয়ে দু’জনে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি। কিন্তু সৌম্য তার ইনিংস বেশি দীর্ঘ করতে পারেননি। শাদাব খানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। ১ ছক্কা ও ১ চারে ১৭ বলে ২০ রান করে আউট হন তিনি।

পরে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু বিতর্কিত এক এলডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে শূন্য রানে বিদায় নেন তিনি। এক ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন শাদাব খান।

সাকিব-সৌম্যের আউতের পর নিজেও যেন খেল হারিয়ে ফেলেন শান্ত। ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে ইফতিখার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।

ইনিংস দীর্ঘ করতে পারেননি মোসাদ্দেক। খেলাটা টি-টোয়েন্টি সুলভ না করে অনেকটা টেস্ট খেলার মেজাজ নিয়েই ব্যাট করতে থাকেন এই ব্যাটার। ১১ বলে ৫ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি।

একই ওভারে সোহানকেও শূন্য রানে ফেরান আফ্রিদি। অধিনায়ক ও সহ অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে এদিন শূন্য রান।

আফিফকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন এই টুর্নামেন্টের বাংলাদেশের সেরা বোলার খেতাব পাওয়া তাসকিন আহমেদ। বড় শট খেলার জন্য খ্যাতি থাকলেও এদিন কিছুই করতে পারেননি তিনি। ৫ বলে ১ রান করে শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে ফিরে যান তিনিও। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ২৪ রান করে ইনিংস শেষ করেন আফিফ।

পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি। মূলত তিনিই বাংলাদেশের বড় স্কোরের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply