ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট নাকি বিরোধী রিপাবলিকানরা ছড়ি ঘোরাবে কংগ্রেসের দুই কক্ষে, তা নির্ধারিত হবে আজ (৮ নভেম্বর), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে। ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে সংকটে পড়বে নীতি নির্ধারনী বিল পাস। আর, রিপাবলিকানরা জিতলে জনপ্রিয়তার মানদণ্ডে এগিয়ে যাবে; যা প্রভাব ফেলতে পারে পরবর্তী নির্বাচনেও। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের লড়াই প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ এবং সিনেটের ৩৪ আসনের জন্য। গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ প্রয়োগ করবেন ভোটাধিকার। এরইমধ্যে অনেকে আগাম ভোট দিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে গণতন্ত্র রক্ষা, অর্থনীতি ও জ্বালানি সংকট, গর্ভপাত অধিকার আইন, সীমান্ত সমস্যাসহ নানা সামাজিক ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব ইস্যুতে নির্বাচনী লড়াইয়ে রিপাবলিকানরা এগিয়ে- এমন বিশ্লেষণ নির্বাচন বিষয়ক টোনার পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক ডেভিড গ্রাহামের। তিনি বলেন, এবার রিপাবলিকানরাই জনপ্রিয়তায় এগিয়ে। প্রশ্ন হলো, কত ভোটের ব্যবধানে তারা জয়ী হবেন। অর্থনৈতিক সংকট, মূল্যস্ফীতি, সীমান্তে অভিবাসন ঢল মোকাবেলা এবং গর্ভপাত সুরক্ষা আইনে দলটির গৃহীত নীতিমালার প্রতি রয়েছে মার্কিনীদের সমর্থন। ভোটের ক্ষেত্রে সেগুলো হবে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
অবশ্য ক্ষমতাসীনরা মনে করেন, গণতান্ত্রিক মূ্ল্যবোধ রক্ষায় তারা সমর্থন পাবেন। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ডেমোক্র্যাটরাই সফলতা দেখিয়েছে; এমনটাই দাবি করেন নর্থ ক্যারোলিনার প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য গ্রেগ মায়ারের। তার বক্তব্য, ভোট নিয়ে আতংক ছড়াচ্ছে রিপাবলিকানরা।
নর্থ ক্যারোলিনার প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য গ্রেগ মায়ার বলেন, এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। শেষ চালে কারা বাজিমাত করবে, তা এখনই বলা কঠিন। রিপাবলিকানরা দাবি করছে, বিপুল সমর্থন নিয়ে কংগ্রেসের উভয়কক্ষে তারা শাসন কায়েম করবে। কিন্তু, ডেমোক্র্যাটরা বেশ সংগঠিত। আর, ওবামা-বাইডেনের আমলে অর্থনীতিতে নতুনত্ব দেখেছে মার্কিনীরা।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল বরাবরই গেছে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে। এর সাথে অর্থনৈতিক সংকট, নিত্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ইস্যু যুক্ত হওয়ায় কংগ্রেসের উভয়কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে আশাবাদী রিপাবলিকানরা।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান প্রার্থী কোর্টনি গিলস বলেন, রিপাবলিকান শাসনামলে চীনকে বাণিজ্যের জন্য আমাদের কাছে ঝুঁকতে হয়েছিল। কিন্তু, বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরই পাল্টে গেল পাশার দান। আমাদের প্রত্যাশা, ক্ষমতায় ফিরে বেকারত্ব কমানো, অর্থনৈতিক স্থিতিশীল রক্ষায় রাখবো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। গৃহীত হবে শাটডাউন এড়ানোর কৌশল।
আরও পড়ুন: আগেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে; মার্কিন নির্বাচনে ওয়াগনার গ্রুপের হস্তক্ষেপ
/এম ই
Leave a reply