কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক নেতার পদ বাণিজ্যের একটি অডিও ভাইরালের পর নানান আলোচনা-সমালোচনা চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে, সাব্বির আহমেদ নামে স্থানীয় এক নেতার কাছে ফোন করে দফায় দফায় টাকা চান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম। সাব্বিরের দাবি, তার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছেন আতিকুল। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্র ঘোষিত আংশিক কমিটিতে জায়গা পাননি সাব্বির।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আতিকুল ইসলামের সাথে চাঁপাইনবগঞ্জ ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদের মোবাইল ফোনে কথোপকথনের কল রেকর্ড এখন জেলার টক অব দ্যা টাউন।
সাব্বিরের দাবি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পাইয়ে দিতে কয়েক দফায় আড়াই লাখ টাকা নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুল ইসলাম। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে দাবি করে পদ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখান আতিকুল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ বলেন, আতিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সন্তান তাই সে সূত্রে আমাদের সাথে তার সাথে একটু সখ্যতা ছিল।
আতিকুলকে টাকা দেয়ার প্রসঙ্গে সাব্বির বলেন, বিকাশে নিয়েছে ৫০ হাজারের মতো। আর ঈদের শপিং করার কথা বলে হ্যান্ড ক্যাশ নিয়েছে দুই লাখ টাকা। তার ভাষ্যমতে- লিডার (লেখক ভট্টাচার্য) তোর ব্যাপারে ঠিক আছে। তাকে আমি ‘ওকে’ করে রাখছি।
টাকা চাওয়ার অডিও ভাইরালের পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ সাব্বিরের। সাব্বির বলেন, আমাদের যারা নেতাকর্মী আছেন বা শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন তাদেরকে তিনি ফোন দিচ্ছেন মেসেজ করছেন। নানারকমভাবে থ্রেট দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আতিকুল ইসলামের মোবাইলে ফোনে অনেকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর ডা. সাইফ জামান আনন্দকে সভাপতি ও আশিকুজ্জামান আশিককে সাধারণ সম্পাদক করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
/এসএইচ
Leave a reply