স্টাফ করেসপনডেন্ট, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় একমাত্র মেয়ের মৃত্যুশোকে হেক্সিসল পান করে বাসন্তী বণিক (৫১) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের নগর ভাতগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাসন্তী নগর ভাতগ্রাম গ্রামের প্রাণকৃষ্ণ বণিকের স্ত্রী। দুপুরে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ স্থানীয়দের বরাতে জানায়, বাসন্তী ও প্রাণকৃষ্ণ দম্পতির একমাত্র সন্তান পূজা বণিক (১৮) কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পূজার মৃত্যু হয়। শুক্রবার ভোরে একমাত্র সন্তানের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে বাসন্তী শোকবিহল হয়ে পড়েন। মেয়ের মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে সবার অজান্তে বাথরুমে ঢুকে হেক্সিসল পান করেন তিনি। পরে অসুস্থ অবস্থায় মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাসন্তী বণিকের ভাই বিপ্লব কুমার বণিক বলেন, পূজা কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ছিল। মেয়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে বোন বাসন্তী বণিক ঘরে থাকা হেক্সিসল পান করেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মা ও মেয়ের লাশ একই সময়ে সৎকার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এ ঘটনায় বাসন্তী বনিকের ভাই একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এটিএম/
Leave a reply