আমদানি স্বাভাবিক, তারপরও নানা অজুহাতে ডালের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। গত ৭ দিনে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। হঠাৎ করে, বাজার চড়ায় বিপাকে সীমিত আয়ের মানুষ। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের হুঁশিয়ারী, কোনো অসাধু চক্র বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশে আমদানি করা ডালের বড় যোগান আসে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কানাডা, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। মাস খানেক আমদানি স্বাভাবিক। ওঠানামা ছিলো না দামেও। কিন্তু হুট করে অস্থির হয়েছে ডালের বাজার। রাজধানীতে দেশি চিকন মশুরের ডালের দাম গিয়ে ঠেকেছে ১২০ টাকায়। আর ভারতীয় ডালের কেজি ১০০ টাকা। মানভেদে অন্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে অন্তত ১০ টাকা বেশি দরে। এতে বিপদ বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের।
ডালের বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, আগে ডাল কিনতাম ১০০টাকা করে। এখন কিনি ১২০ টাকায়। মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তদের সমস্যার শেষ নাই।
ডালের দাম বৃদ্ধির জন্য পাইকার ও আমদানিরকদের দোষারোপ করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে, পাইকারদের দাবি ভিন্ন। তারা বলছেন, দাম কিছুটা বাড়লেও কেজিতে ১০-২০ টাকা দর বৃদ্ধি অযৌক্তিক।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, বারবার বলার পরও পাকা রসিদে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। তবে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করলে বসে থাকবে না প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, অজুহাতের তো শেষ নেই। নিজে থেকেই যখন আমরা মনিটর করি তখন বলে যে, ডিলাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, কিন্তু তারা কোনো পাকা ভাউচার দেখাতে পারে না। পাইকারি বাজার থেকে কেনার পাকা ভাউচার যদি আমরা এনশিওর করতে পারি তাহলে আরেকটু ক্লোজ মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।
এদিকে, টিসিবির পরিসংখ্যান বলছে- মুগডাল ছাড়া গত এক বছরে মোটা মশুর, অ্যাংকর, ডাবলিসহ সব ডালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
/এসএইচ
Leave a reply