ক্লাব ক্যারিয়ারে এমন কোনো শিরোপা নেই যা মেসির অপূর্ণ রয়েছে। তবে, আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা জিততে মেসির অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৪ বছর। দুই বছর আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে আকাশি-সাদা জার্সিতে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতেন এই সুপারস্টার। এবার লক্ষ্য বিশ্বকাপ জয়, সেটা মেসিও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়ে বলেছেন, ঈশ্বরই সিদ্ধান্ত নেন, ঈশ্বর জানেন কখন সঠিক সময় এবং আমি আশা করি ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করবেন।
আর মাত্র ৮ দিন বাকি দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত ফিফা বিশ্বকাপের। এরই মাঝে আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে কে জিতবে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের শিরোপা। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় আর্জেইন্টাইন যাদুকর লিওনেল মেসি। প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে পাড়ি জমানো মেসি এই মৌসুমে রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। লিগ ওয়ানে ১২ ম্যাচে ৭ গোলের পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে ১০টি গোল করিয়েছেন এই ফুটবল সেনসেশান।
সম্প্রতি আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম ডাইরিও ওলে কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ জেতা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টের পরবর্তী ম্যাচগুলোর মুখোমুখি হওয়ার জন্য এটি আপনাকে মানসিক শান্তি দেবে। আমরা আসন্ন সব ম্যাচ একই তীব্রতা নিয়ে খেলবো।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে এলএমটেন বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দেই না, আমি জানি যে ঈশ্বরই সিদ্ধান্ত নেন, ঈশ্বর জানেন কখন সঠিক সময়। আমার ক্যারিয়ারে যা ঘটেছে তার জন্য আমি সর্বদা কৃতজ্ঞ। ঈশ্বর যদি চান অবশ্যই বিশ্বকাপ ঘরে আসবে। বিশ্বকাপে সবসময় এমন কিছু ঘটে যা আপনি কল্পনাও করতে পারেন না। আমরা বাস্তববাদী যে এটি একটি কঠিন বিশ্বকাপ হতে চলেছে এবং যেকোনো ভুল আপনাকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিতে পারে।
আর্জেন্টিনার বর্তমান দল নিয়ে লিও মেসি বলেন, ব্রাজিলের বিপক্ষে কোপা আমেরিকা ২০১৯ এর সেমিফাইনালে হারার পর থেকে এই দলটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এরপরে দল শুধু জয়ের ক্ষুধা নিয়ে খেলেছে যা আমাদের জিততে সাহায্য করেছে। আমি বিশ্বকাপের জন্য উত্তেজিত। আমরা লড়াই করতে যাচ্ছি কারণ, এই দলটি প্রতিটি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
অপরাজিত থাকার রেকর্ড ও বড় ছেলে থিয়োগোর সম্পর্কে মেসি বলেন, ইতালীর সবচেয়ে বেশি অপরাজিত খেলার রেকর্ড ভাঙতে পারলে ভালো লাগবে। থিয়াগো আমাদের প্রায় সব ম্যাচ দেখে, সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের খোঁজে, জাতীয় দলের সঙ্গীত গায়। বিশ্বকাপ নিয়ে বেশ চিন্তিত থিয়াগো। সে সব সময় চিন্তা করে, সম্ভাব্য নকআউট ম্যাচ এবং সব ম্যাচ নিয়ে। এটা আমাকে অনেক চাপে রাখে (ছেলের কথা বলেই হাসি)।
আর্জেন্টিনার দর্শক ও নিজের ভক্তদের উদ্দেশে মেসি বলেন, যারা আমার সাথে অটোগ্রাফ বা ছবি তোলার জন্য স্টেডিয়ামের দিকে তেড়ে আসে, তখন আমি খুব উপভোগ করি; এটা এক ধরনের ভালবাসা। এটা সত্যিই অনুপ্রেরণা যোগায় আমাকে, এই নিয়ে কখনও কখনও আমার ভিতরে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। আর্জেন্টিনা ভক্তরা সবসময় আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখায় তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে মেসিবাহিনীরা। গ্রুপ সি এ আলবেসিলেস্তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড ও মেক্সিকো।
/আরআইএম
Leave a reply