২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইডেন গার্ডেনে শেষ ওভারে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ইংল্যান্ডের হয়ে বল করতে আসেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ৪ বলে ৪ ছক্কা খেয়ে ম্যাচের খলনায়ক বনে যান স্টোকস। ৬ বছর পর মেলবোর্নে সেই বেন স্টোকসের বীরত্বেই দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলো ইংল্যান্ড।
বেন স্টোকসের অপরাজিত ৫২ রানের উপর ভর করে সাদা বলের ক্রিকেটে ৩ বছরের মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলো ইংল্যান্ড। ইডেনের খলনায়ক থেকে মেলবোর্নের নায়ক বনে যান বেন স্টোকস। দর্শকদের মনে থাকার কথা, ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে লর্ডস আরও একবার দেখেছিল, স্টোকসের হাতে সেদিন পূর্ণতা পেয়েছিল ইংলিশদের আজন্ম লালিত সাধ, বিশ্বকাপ জয়। ইডেনে হয়ে গিয়েছিল ভুল। তার প্রতিদানে ইংল্যান্ডকে দুই দুইটি বিশ্বকাপ এনে দিলেন হেডিংলিরও অবিসংবাদিত রাজা বেন স্টোকস।
পাকিস্তানের ১৩৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া ইংল্যান্ডের দূত হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন বেন স্টোকস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি রানের চাকা সচল রাখেন স্টোকস। ৫ চার ও ১ টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংসের উপর ভর করে ৫ উইকেটের জয় পায় ইংল্যান্ড দল।
২০১৬ সালে কার্লোস ব্রেথওয়েটের কাছে ৪ বলে টানা ৪টি ছয় খেয়েছিলেন স্টোকস। ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল, ‘রিমেম্বার দ্য নেইম, কার্লোস ব্রেথওয়েইট!’ কিন্তু অলক্ষ্যে যেন হেসেছিলেন ক্রিকেট দেবতা। বেন স্টোকসের নাম এরপর এতবার উচ্চারিত হচ্ছে যে, ইংল্যান্ডের পথঘাটও মনে রাখবে সেই নাম, বেঞ্জামিন অ্যান্ড্রু স্টোকস।
আরও পড়ুন: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড; সাদা বলের ক্রিকেটে ইংরেজদের রাজত্ব
/এম ই
Leave a reply