কালজয়ী খলনায়কের প্রয়াণ দিবস আজ

|

ওয়াসীমুল বারী রাজীব (১৯৫২-২০০৪)

পর্দায় তার দরাজ কণ্ঠের গর্জন ছিল বাঘের মতো। তার কণ্ঠে খলনায়কের বিভৎসতা যেমন প্রাণ পেতো তেমনি সাদামাটা চরিত্রও মন জয় করতো দর্শকের। বলছি ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা রাজীবের কথা। আজ দাপুটে এ অভিনেতার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

তার পুরো নাম ওয়াসীমুল বারী রাজীব। আর চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘রাজীব’ নামেই।

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলার দুমকীতে জন্মগ্রহণ করেন রাজীব। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তার ইচ্ছে ছিল নায়ক হবেন, সে লক্ষ্যে আসেন ঢাকায়। এরপর নির্মাতা কাজী হায়াতের ‘খোকন সোনা’ সিনেমায় নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন রাজীব।

এরপর আরও একাধিক সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাকে। তবে কোনো সিনেমাতেই নায়ক রূপে দর্শকদের নজর কাড়তে পারেননি তিনি।

পরবর্তীতে রাজীব অভিনয় শুরু করেন খল চরিত্রে। এরপর একের পর এক সিনেমায় খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য এক উচ্চতায়। এরপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ঢালিউডের বহু ব্যবসাসফল ও দর্শকনন্দিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজীব। প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন খল নায়কের চরিত্রে।   

অভিনয়ের সুবাদে তিনি দর্শকদের কাছ থেকে যেমন ভালোবাসা পেয়েছেন, তেমনি পুরস্কারের মঞ্চেও নিজেকে সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রাজীব। ‘হীরামতি’, ‘দাঙ্গা’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’ এবং ‘সাহসী মানুষ চাই’ সিনেমাগুলোর জন্য তিনি চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।

অভিনয়ের পাশাপাশি নেতৃত্বেও অসামান্য গুণের অধিকারী ছিলেন রাজীব। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বা বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন রাজীব।

২০০৪ সালের আজকের এই দিনে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন চরুপালি পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা। তবে তার রাগী চেহারা আর জোরালো সংলাপ আজও বাড়িয়ে দেয় দর্শকদের হৃদস্পন্দন।

/এসএইচ   

  


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply