ডেনমার্কের পতাকা টানিয়ে আর্জেন্টিনা সমর্থক ট্রাফিক পুলিশের রোষানলে জামাল ভূঁইয়া

|

বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।

বাড়িতে ডেনমার্কের পতাকা টানিয়ে কটু কথা শুনতে হয়েছে জামাল ভূঁইয়াকে। এরপরও বিশ্বকাপে নিজের জন্মস্থানকেই সাপোর্ট করছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক। সে সাথে নিজের নতুন ঠিকানা নিয়েও কথা বলেছেন জেবি সিক্স।

আর্জেন্টিনা নাকি ব্রাজিল? বাংলাদেশের বেশিরভাগ সমর্থকের কাছে ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই যেনো আকাশী-সাদা আর হলুদ জার্সির খেলা। তাই তো জামাল ইয়ার বাসার সামনে টাঙ্গানো ডেনমার্কের পতাকা ভালোভাবে নিতে পারেনি বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকরা।

সম্প্রতি, বাড়িতে নিজ দেশের পতাকা লাগিয়ে জামাল ভূঁইয়া শুনেছেন কটু কথা । আর্জেন্টিনার ভক্ত এক ট্রাফিক পুলিশের বিড়ম্বনার শিকারও হয়েছেন জেবি সিক্সকে।

জামাল ভূঁইয়া বলেন, একজন ট্রাফিক পুলিশ আমার বাসায় আসেন। এসে বলেন- তুমি কেনো এই ফ্ল্যাগ দিয়েছো? এটা কীসের ফ্ল্যাগ? মানে, ওরা জানেই না যে এটা ডেনমার্কের ফ্ল্যাগ। তখন আমি বুঝিয়ে বলি যে, এটা ডেনমার্কের ফ্ল্যাগ। আর ওখানেই আমার জন্ম। এজন্যই আমি এই ফ্ল্যাগ টানিয়েছি। তখন ও (ট্রাফিক পুলিশ) বলছে যে- ও মারাদোনা সাপোর্টার; আপনি আর্জেন্টিনার ফ্ল্যাগ টানাতে পারেন? এরপর, আমি ২০ মিনিট পরে ওনাকে একটা বাংলাদেশের জার্সি দিয়েছি। উনি খুশি হয়ে চলে গেছেন।

বিশ্বকাপে ডেনমার্ককে নিয়ে বেশ আশাবাদী জামাল। তার দুই বন্ধু দলটিতে খেলছেন বলেও জানালেন।

জামাল বলেন, ওরা এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারে। ওদের অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে। আমার দুজন বন্ধুও আছে, যারা ডেনমার্ক দলে খেলে। ওদের একজন আমার ছোটবেলার বন্ধু। আমি ওদের সাথে একসাথে খেলেছি। এজন্য আমি ওদেরকে সাপোর্ট করবো।

দেশের ক্লাব ফুটবলে সাইফের সাথে দীর্ঘদিনের পথচলা শেষ হয়েছে জামালের। টানাপোড়ন থাকা অর্থের বনিবনাও খুব দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আরও জানান, নতুন মৌসুমে তার নতুন পথচলা শেখ রাসেলের সাথে।

জামাল বলেন, আমার মনে হয় স্বাধীনতা কাপে আমাদের ভালো সুযোগ ছিল। আমরা মাত্র এক সপ্তাহ প্র্যাকটিস করেছি। আমাদের আরও সময় দরকার।

প্রসঙ্গত, হিংসা-বিবাদ না করে সমর্থকদেরকে ফুটবল বিশ্বকাপ উপভোগ করার আহবান জানিয়েছেন জামাল।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply