গাজীপুরে হর্টিকালচার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শতাধিক গাছ বিক্রির অভিযোগ

|

টেন্ডার ছাড়াই শতাধিক সরকারি গাছ ও বিভিন্ন পুরনো মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হর্টিকালচার সেন্টারের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। যেগুলোর মূল্য কয়েক লাখ টাকা। নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসব গাছ বিক্রির কথা জানা নেই বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, সরকারি গাছ কাটার নীতিমালা লঙ্ঘন করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হর্টিকালচার সেন্টারে একের পর এক গাছ কাটা হচ্ছে। এরইমধ্যে কাটা পড়েছে আম, কাঁঠাল, জলাপাইসহ শতাধিক ফলজ গাছ। নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি গাছ উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার কথা থাকলেও হর্টিকালচার সেন্টারের গাছ বিক্রিতে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

আর এ অভিযোগ হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক সামসুর রহমান খাঁনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না। আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি আপনারাও আর এটা নিয়ে কথা বাড়ায়েন না।

গত মাসেও অফিসের পুরনো ট্রাক্টর, গাড়ির চেসিসসহ বিভিন্ন পুরনো মালামাল মাত্র আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। ক্রেতা জানিয়েছেন, নিলাম ছাড়াই তিন এসব মালামাল কিনেছেন।

কালিয়াকৈর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, হর্টিকালচার কর্তৃপক্ষ বন বিভাগ বরাবর টেন্ডারের আবেদন করলে সরেজমিন পরিদর্শন করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এরপর নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। গাছ কেছেটে কিনা এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ বা সংবাদ আমরা পাইনি।

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, আমাকে জানানো হয়নি। আমি এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল না। যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, কেউ যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করে, আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, ২৬ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত হর্টিকালচার সেন্টারে তিনটি ব্লকে রয়েছে কয়েক হাজার গাছ।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply