মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। মাছ না পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরছেন ভোলার জেলেরা। তারা বলছেন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর নদীতে ২/১ দিন কাঙ্ক্ষিত মাছ পেলেও ফের উধাও রূপালি ঝিলিক। তবে ইলিশ পাওয়ার আশায় প্রতিদিন নদীতে গিয়ে ট্রলারের জ্বালানির খরচও উঠছে না। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দু’বেলা আহার জোগাড়ই মুশকিল হয়ে পড়েছে।
তিন সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৯ অক্টোবর থেকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারে যান ভোলার জেলেরা। কাঙ্ক্ষিত মাছ না পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরছেন তারা। বলছেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর নদীতে ২/১ দিন কাঙ্ক্ষিত মাছ পেলেও ফের উধাও রূপালি ঝিলিক। নদীতে গিয়ে ট্রলারের জ্বালানির খরচও উঠছে না। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দু’বেলা আহার জোগাড়ই মুশকিল হয়ে পড়েছে।
জেলেরা জানালেন, প্রথম ক’দিনের পর ইলিশের দেখা না মিললেও চার দিনের মতো পাঙ্গাশ ধরা পড়ে। তারপর থেকেই ইলিশ বা পাঙ্গাশ কোনটিরই দেখা নেই। নিষেধাজ্ঞাকালে ঋণ করে চালাতে হয়েছে সংসার। এখন মাছ না পাওয়ায় যোগাড় হচ্ছে না এনজিও’র ঋণের কিস্তি। পরিবারের দু’বেলা খাবার জোটানোয় মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আড়তদাররা বলছে, মাছের অভাবে ব্যবসায় মন্দা তাদের। জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, শুকনো মৌসুম শুরু হওয়ায় নদ নদীতে পানি কমছে। তাই গভীর সাগরে যাচ্ছে ইলিশ। পর্যাপ্ত ইলিশ পেতে অপেক্ষা করতে হবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ভোলার সাত উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ জেলের বসবাস থাকলেও সরকারি নিবন্ধিত মৎস্যজীবী ১ লাখ ৫৭ হাজার।
এটিএম/
Leave a reply