ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে কানাডায় চাকরির নামে প্রতারণা

|

ফয়সাল মাহমুদ:

নিজের নাম লিখতে না পারলেও চলবে। টিপ সই দিয়েই পাওয়া যাবে কানাডার টিকিট। এজন্য গুনতে হবে মাত্র ৬ লাখ টাকা। তাও সুযোগ থাকছে কানাডায় গিয়ে পরিশোধের। ফেসবুকে এমন লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে মিরপুরের “ভিসা কনসালটেন্সি নেটওয়ার্ক” নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান। যারা ভিসা প্রসেসিং এর নামে এরইমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

অভিযুক্ত আনিসুর রহমান কানাডায় পাঠানোর নামে দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন প্রতারণা। ধরা পড়লে আবার নতুন নামে শুরু হয় তার প্রতারণা বাণিজ্য। তার ফাঁদে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে কানাডা গমনেচ্ছুরা।

আগে ভিসা পরে টাকা। লাগবে না আইইএলটিএস। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে ওই কনসাল্টেন্সি নেটওয়ার্কে যান দুই ভুক্তভোগী সজিব ও শামসুল। অফার লেটার আর মেডিকেল বাবদ খুঁইয়েছেন ২৫ হাজার টাকা। এখন আর ফোন ধরে না কেউ।

তাদের দেয়া ওই অফার লেটার যাচাই করে যমুনা নিউজের টিম। মেইল করা হয় কানাডার সেসব প্রতিষ্ঠানে। মেইলে জানানো হয় তারা এ ধরনের অফার লেটার ইস্যু করেনি।

গেলো ১৪ নভেম্বর মিরপুরের সেই কনসাল্টেন্সি অফিসে পরিচয় গোপন করে যায় যমুনা নিউজ। জানতে চাওয়া হয় কানাডা যাওয়ার প্রক্রিয়া। তখন বলা হয়, কানাডা যাওয়ার পরে ৩ মাস ট্রেনিং সেশনে থাকতে হবে। আইইএলটিএস না থাকলেও সমস্যা নেই। সেখানে একদম খেটে খাওয়া মানুষ যাচ্ছে। এরপর ক্যামেরা নিয়ে সেই কাউন্সিলরের মুখোমুখি হলে আগের দিনের সব কথাই অস্বীকার করেন তিনি।

ওই অফিসের আইটি রুমে ঢুকে পাওয়া গেছে শত শত মেডিকেল রিপোর্ট আর নকল সব অফার লেটার। মেডিকেল সেন্টারের সাথে যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানটি মাসে কামিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা।

গত এক বছরে প্রতিষ্ঠানটি নাম পরিবর্তন করেছে তিনবার। শুরুতে একটিভ ভিসা এডভাইসর নাম থাকলেও র‍্যাবের অভিযানের পর তা হয়ে যায় ট্রাস্ট ভিসা সেন্টার। সেটিও বেশিদিন থাকেনি। নতুন নাম দেয়া হয় ভিসা কনসালটেন্সি নেটওয়ার্ক। প্রতিষ্ঠানটি গেল ৪ বছরে অন্তত ২৪ হাজার মানুষের মেডিকেল টেস্ট করিয়েছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply