কাতার বিশ্বকাপে নজর থাকবে যেসব তরুণ খেলোয়াড়ের ওপর

|

কয়েক ঘণ্টা পরই পর্দা উঠতে চলেছে কাতার বিশ্বকাপের। এবারের ২২-তম ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। আয়োজনের দিক থেকে এই আসর নতুনত্বে ভরা। কিন্তু বিশ্বকাপের মূল আকর্ষণ হলো ফুটবলারদের পায়ের জাদু। মাঠে গড়ানো খেলায় সেই জাদুকরি দক্ষতা দেখতেই স্টেডিয়ামে উপস্থিত হবে হাজার হাজার দর্শক। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ম্যাজিক্যাল মোমেন্ট দেখার পাশাপাশি প্রতি বিশ্বকাপের মতো এবারও চোখ থাকবে কিছু তরুণ খেলোয়াড়ের দিকে। ক্লাব ফুটবলে দারুণ ছন্দে থাকা এসব তরুণদের বাজিমাত দেখতে চান দর্শকরা। চলুন জেনে নেয়া যাক এবারের কাতার বিশ্বকাপে নজর থাকছে যেসব তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর।

রদ্রিগো গোয়েজ (ব্রাজিল): খেলেন রিয়াল মাদ্রিদে। ২১ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান নিজেকে চিনিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দিয়েই। গতি আর স্কিল তার শক্তির জায়গা। চাপ সামলাতেও পটু তিনি। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে তার গোলেই বিদায় নিয়েছিল চেলসি। নেইমারের সতীর্থ হিসেবে এবার বিশ্বকাপ মাতাবে রদ্রিগো, তা তাই বলায় যায়।

পাবলো পায়েজ গাভি (স্পেন) : বয়সে তিনি রদ্রিগোর চেয়ে তরুণ। তবে সামর্থ্য কম নয়। মাত্র কৈশোর পেরুনো পাবলো বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নাম লিখিয়ে গড়েছেন রেকর্ড। ইতোমধ্যে ঝুলিতে তুলেছেন ২০২২ কোপা ট্রফি। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনায় নিয়মিত পাবলো।

জুড বেলিংহ্যাম (ইংল্যান্ড) : অন্যদের তুলনায় বেশ তারুণ্যনির্ভর দল নিয়েই বিশ্বকাপ মিশনে ইংলিশরা। তবে বেশি আলোচনায় জুড বেলিংহ্যাম। বয়স মাত্র ১৯। ক্লাব ফুটবলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের অধিনায়ক হিসেবে ইতোমধ্যেই নাম কুড়িয়েছেন। তার সম্পর্কে ওয়েইন রুনি বলেন, দারুণ ড্রিবল তো আছেই, পারফর্ম করার মানসিকতা তাকে ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। ফলে, ইংলিশ ফ্যানদের নজর যে তার দিকে তীক্ষ্ণভাবে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।

জামাল মুসিয়ালা (জার্মানি) : বায়ার্ন মিউনিখে খেলেন তিনি। দলটির হয়ে ইতোমধ্যেই প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১০০ ম্যাচে। চলতি মৌসুমে ২২ গোলে রেখেছেন অবদান। জাতীয় দলের থমাস মুলার, সের্জ গেনাব্রি আর লেরয় সানেদের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া তার। জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথিয়াস জামাল সম্পর্কে বলেন, বর্তমানে একজন খেলোয়াড় আছেন যার খেলা দেখলে লিওনেল মেসির কথা মনে পড়ে যায়; তার নাম জামাল মুসিয়ালা। উত্তরসূরির এমন প্রাণখোলা প্রশংসা শুনে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিশ্চয়ই দায়িত্ব বেড়েছে জামালের।

ভিনিসিয়াস জুনিয়র (ব্রাজিল) : দারুণ গতি আর চাপ সামলানোর ক্ষমতা দিয়ে ২২ বছর বয়সী ভিনিসিয়াস এরই মধ্যে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে জয়সূচক গোলটি তার পায়েই আসে। চলতি মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ৬ গোল আর ৩ গোলে করেছেন সহযোগিতা। বিশ্বকাপেও সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবে তার কাছে।

পেদ্রি গনজালেস (স্পেন) : ক্লাব ফুটবলে পরেন বার্সেলোনার জার্সি। ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের রয়েছে দুর্দান্ত পাস করার ক্ষমতা। ২০২১ সালের সেরা তরুণ খেলোয়াড় এবং ইউরোর সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব এখন তার। এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্প্যানিস সমর্থকদের।

অহেলিয়া শুয়ামেনি (ফ্রান্স) : তিনি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন চলতি মৌসুমে। ২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার শারীরিক শক্তির সঙ্গে দুর্দান্ত টেকনিক্যাল স্কিল নিয়ে এগিয়ে আছেন অনেকেরে চেয়ে। পল পগবা আর এনগোলো কন্তের অনুপস্থিতিতে তার ওপর বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে দলের।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply