অতি চালাকের গলায় দড়ি!

|

স্ত্রীকে নিয়ে নিউ দিল্লি থেকে হাওড়া যাবেন বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়। ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনের দিকে রওনা করেছেন। পথে হঠাৎ প্রচণ্ড পেট ব্যথায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তার স্ত্রী। অগ্যতা, ঔষধ কিনতে ফার্মেসিতে যেতে হয় তাদের। এদিকে ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজধানী এক্সপ্রেস ধরার কথা তাদের। কিন্তু ঔষধ কিনতে গিয়ে যে দেরি হয়ে গেলো!

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টেশনে পৌঁছাতে পারবেন না জেনে নতুন ফন্দি আটেন সুপ্রিয়। নিজের মোবাইল থেকে ১০০-তে ডায়াল করে পুলিশকে বলেন, রাজধানী এক্সপ্রেসে বোমা রাখা আছে। উদ্দেশ্য ছিলো ট্রেনটিকে গাজিয়বাদ স্টেশনে দাঁড় করানো। কিন্তু উল্টো ফেঁসে গেলেন এ বাঙালি দম্পতি।

সুপ্রিয়ের কলটি যায় দিল্লি পুলিশের কাছে। সেখানে থেকে তারা রেলপুলিশকে অবহিত করে। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনটি গাজিয়াবাদ স্টেশনে থামানো হয়। চলে তল্লাশি। একই সঙ্গে কলের উৎসের সন্ধান করা শুরু করে পুলিশ। মোবাইল ট্রাক করে সুপ্রিয় দম্পতিকেও খুঁজে বের করে পুলিশ।

যথারীতি পুলিশ ট্রেন তল্লাশি করে কিছু পায়নি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুপ্রিয়কে। তিনি ট্রেন ধরার জন্য বোমা রাখার কথা বলেছেন বলে স্বীকার করেন। সবশুনে পুলিশ তাদের বেশিক্ষণ আটক রাখেনি। জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করে সুপ্রিয়ের বিরুদ্ধে। থানা থেকেই জামিন নিয়ে বের হয়ে যান সুপ্রিয়। কিন্তু এরমধ্যেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেস। এত কিছু করেও ট্রেনটি শেষ পর্যন্ত ট্রেন মিস করলেন এ দম্পতি। মাঝে ফেঁসে গেলেন মামলায়। একেই বলে, অতি চালাকের গলায় দড়ি!

যমুনা অনলাইন: এফএম/টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply