কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে নিতে পারেনি ইতালি। কিন্তু কাতারে থাকবে দেশটির নাম। এমনকি অন্য কারো হাতে শিরোপা উঠলেও আলোচনায় থাকবে সেই ইতালিই। কেননা সেখানেই যে তৈরি হয় স্বপ্নের সোনালি ট্রফি। গত ৫০ বছর ধরে বিশ্বকাপের ট্রফি তৈরি করে আসছে ইতালীয় একটি কোম্পানি।
১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের সময় ট্রফিটির নামকরণ হয় ভিক্টরি। এরপর ১৯৪৬ সালে নাম বদলে তৎকালীন ও ফিফার তৃতীয় প্রেসিডেন্টকে সম্মান জানাতে নামকরণ করা হয় জুলে রিমে ট্রফি। গ্রিক দেবী নাইকির আদলে এটি তৈরি করেছিলেন ফরাসী ভাস্কর অ্যাবেল লাফ্লেউর।
১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপ জিতে জুলে রিমে ট্রফিটিকে নিজেদের করে নিয়ে যায় পেলের দল ব্রাজিল। আর তাই ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুন ট্রফি বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৫০টি ডিজাইনের মধ্য থেকে ইতালির ডিজাইনার সিলভিও গাজ্জানিকার নকশা পছন্দ করে ফিফা। আর সেই নকশা বাস্তবায়ন করে ইতালির জিডিই বের্তোনি কোম্পানি। এরপর থেকেই ট্রফিটির নামকরণ করা হয় ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি নামে।
এরপর থেকে কঠিন প্রতোযোগিতার মধ্যে দিয়ে বিশ্বকাপ জিতলেও, ট্রফিটিকে চিরদিনের জন্য রাখতে পারে না বিজয়ী দল। আর দেয়া হয় রেপ্লিকা ট্রফি। সেটিও তৈরী করার দায়িত্বও সেই ইতালির কোম্পানিটির। শুধু বিশ্বকাপ নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ইউরোপা লিগ ও সুপার কাপের ট্রফিও তৈরি করে জিডিই বের্তোনি।
পুরো ১৮ ক্যারেট সোনায় মোড়ানো ট্রফিটি তৈরিতে সেই সময় খরচ পড়েছিলো ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বর্তমানে যার মূল্য প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার। তবে গাজ্জানিকার ডিজাইন করা ট্রফিটির নকশা পরিবর্তন করতে হবে ২০৪২ বিশ্বকাপে। কেননা ট্রফির গায়ে লেখার সুযোগ রয়েছে মোট ১৭টি বিজয়ী দলের নাম। যা পূর্ণ হয়ে যাবে তার আগের বিশ্বকাপে।
Leave a reply