শেষ চারবারের বিশ্বকাপে ইউরোপ দলগুলোর কাছে হেরেই মিশন হেক্সা স্বপ্নভ্রষ্ঠ হয় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও সেই ইউরোপ বাধা! এবারের প্রতিপক্ষ গেল আসরের রানার্সআপ দল ক্রোয়েশিয়া। রোনালদো, রোনালদিনহো, কাকা, রবিনহোদের হতাশার মুহূর্তগুলি কি এবার নেইমার, ভিনিসিয়াস, রিচার্লিসনরা ঘুচাতে পারবেন, নাকি পঞ্চমবারে এসেও একই পুনরাবৃত্তি ঘটবে!
রাউন্ড অব সিক্সটিনে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে সেলেসাওরা। পারফরমেন্সের হিসেবে কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ব্রাজিল এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। একঝাঁক তারকা সমৃদ্ধ খেলোয়াড় নিয়ে তাই আসরের হট ফেভারিটও সেলেসাওরা। তবে, হেক্সা মিশনে বড় বাধা ব্রাজিলের সামনে ইউরোপের দলগুলো। কেননা, ২০০৬- ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৪ বারই ইউরোপের দলগুলোর কাছে হেরে বিদায় নেয় সেলেসাওরা।
২০০৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে জিনেদিন জিদানের একক নৈপুণ্যের কাছে হার মেনেছিল ব্রাজিল। ৫৭ মিনিটে থিয়েরি অঁরির গোলে ১-০ ব্যবধানের হারে দেশে ফিরেছিল ওই আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। রোনালদো, রোনালদিনহো, কার্লোস, কাকাদের মতো সুপারস্টাররা হাতাশায় ভেঙে পড়ে। এরপর পালাবদল শুরু হয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে।
২০১০ বিশ্বকাপের আগে মাঝের ৪ বছরে পুরোপুরি পাল্টে ফেলা হয় ব্রাজিল দল। কাকা ও রবিনহো থাকলেও অন্যান্য পজিশনে নতুন খেলোয়াড় আনেন কোচ দুঙ্গা। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল নেদারল্যান্ডস। ১০ মিনিটে রবিনহোর গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। কিন্তু বিরতির পর ওয়েসলি স্নেইডারের জোড়া গোলে আবারও স্বপ্নভঙ্গ হয় ব্রাজিলের। ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় সেলেসাওদের।
২০১৪ সালে ঘরের মাঠে লজ্জাজনক হারে এখনো ট্রলের শিকার হয় ব্রাজিল সমর্থকরা। বেলো হরিজেন্তোয় অনুষ্ঠিত সেই সেমিফাইনাল ম্যাচে ব্রাজিল দল জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়।
২০১৮ সালে রাশিয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের মুখোমুখি হয় তিতের ব্রাজিল। হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনাদের কাছে ২-১ গোলের হারে বিদায় নিতে হয় লাতিন দলটিকে।
ঠিক ৪ বছর বাদে ব্রাজিলের সামনে এসেছে ইউরোপ বাঁধ ভাঙার। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রতিশোধের মিশনে মাঠে নামবে ব্রাজিল। সেলেসাওরা কি পারবে চারবারের হারের বাধা ভাঙতে নাকি পঞ্চমবারে এসেও ইউরোপদের কাছে হেরে স্বপ্নভ্রষ্ঠ হবে হেক্সা মিশন।
/আরআইএম
Leave a reply