মুক্তি পাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’

|

বিশ্ব সিনেমায় এক ঝড় উঠেছিলো ২০০৯ সালে। সে ঝড়ের নাম ছিলো ‘অ্যাভাটার’। বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা জেমস ক্যামেরন পরিচালিত সিনেমাটি সিনেমার ইতিহাসে নতুন এক দিগন্তের সূচনা করে। ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে সিনেমাটি হয়ে ওঠে সর্বকালের সেরা আয়করা সিনেমা। দীর্ঘ ১৩ বছর পর এবার আসছে এ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।

টাইটানিকখ্যাত ব্লকব্লাস্টার নির্মাতা জেমস ক্যামেরন ভবিষ্যতের পৃথিবীকে তুলে ধরেন তার বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনী নির্ভর ‘অ্যাভাটার’ সিনেমায়। সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যবসার যে মাইলস্টোন গড়েছিল তার ‘টাইটানিক’ সিনেমাটি, সেটিকেও ছাড়িয়ে যায় ‘অ্যাভাটার’।

সম্প্রতি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ এর মুক্তি উপলক্ষে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় জমকালো প্রিমিয়ার শো। শো শেষে পরিচালক জেমস ক্যামেরন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেন সিনেমাটি বানাতে ১৩ বছর লাগল?

উত্তরে জেমস ক্যামেরন বলেন, গভীর সমুদ্রের মধ্যে টানা শুটিং করতে হয়েছে। সমুদ্রের সঠিক লোকেশন খুঁজতেই কয়েক বছর লেগে গেছে। পুরো চিত্রনাট্য বদলাতে হয়েছে। এজন্য শুটিংও পিছিয়ে যায় বারবার। চতুর্থবার চিত্রনাট্য লিখে তবেই কাজ শুরু করেছি। সিনেমাটি নির্মাণ করতে পানির নিচে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, এটা নতুন করে এ সিনেমার জন্যই আবিষ্কার করা।

নির্মাতা আরও জানান, শুটিংয়ে গিয়েও অনেক কিছু শিখতে হয়েছিল কলাকুশলীদের। এর মধ্যে ছিল পানির নিচে এক মিনিটের বেশি সময় নিশ্বাস বন্ধ করে রাখা। এই অনুশীলন করতে কেটে গিয়েছিল মাসের পর মাস। প্রথম দিকে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মুক্তির কথা থাকলেও সিনেমাটির সিজিআইয়ের কাজ নিয়ে দোটানায় ছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। যথাযথভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতেই এতো সময় লেগেছে টিমের।

‘অ্যাভাটার’-এর মতো এ সিনেমাতেও জ্যাক সুলি ও নাভি নেইতিরির ভূমিকায় থাকছেন স্যাম ওয়ার্থিংটন ও জো সালদানা। সিকুয়েলের গল্প এবার জ্যাক এবং নেইতিরির ওপর ফোকাস করা হয়েছে। পুরো সিনেমায় ভূপৃষ্ঠের ওপরের এবং নিচের অ্যালিয়েন ওয়ার্ল্ড প্যান্ডোরার উজ্জ্বল নীল জলের চমৎকার সব শট তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি প্রথম কিস্তির উড়ন্ত প্রাণী তোরুকসহ নতুন তিমির মতো প্রাণীরও দেখা মিলেছে এবার।

‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’- এ সিগর্নি ওয়েভারকে দেখা যাবে ডক্টর গ্রেস অগাস্টিন চরিত্রে এবং স্টিফেন ল্যাংকে দেখা যাবে কর্নেল মাইলস কোয়ারিচের চরিত্রে। নতুন তারকার মধ্যে দেখা যাবে ভিন ডিজেল এবং কেট উইন্সলেটকে। যিনি এর আগে ক্যামেরনের বিখ্যাত টাইটানিকেও অভিনয় করেছেন।

জানা গেছে, অ্যাভাটার এর তৃতীয় কিস্তি আসবে ২০২৪ সালে। পরের কিস্তিগুলো ২০২৬ ও ২০২৮ সালে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ‘মার্ভেলস অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ এসে বক্স অফিসে সিংহাসনচ্যুত করে অ্যাভাটারকে। আগামীকাল সিনেমাটি মুক্তির পর সে তকমা কি ফিরে পাবে জেমস ক্যামেরনের স্বপ্নের এ প্রজেক্ট!

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply