মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অধিকতর নিরাপত্তা চাইলে তাকে তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পিটার হাস হঠাৎ করে জরুরি ভিত্তিতে সাক্ষাৎ করেন। তিনি সকালে শাহীনবাগের এক বাসায় গিয়েছিলেন। বাইরে অনেক লোক ছিল। লোকজন কিছু একটা বলতে চেয়েছিল তাকে। উনার সিকিউরিটির লোকেরা তাড়াতাড়ি চলে যেতে বলেছে। সিকিউরিটি বলেছে, গাড়ি ব্লক করে দেবে। সে নিরাপত্তা অনিশ্চয়তায় পিটার হাস তাড়াতাড়ি চলে গেছেন। এতে তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। উনাকে বলেছি, নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আমাদের। আপনার লোক ও গাড়ির ওপর কেউ আক্রমণ করেছে? উনি বললেন ‘না’। তবে, ওনার গাড়িতে হয়তো দাগ লেগেছে।
মন্ত্রী বলেন, পিটার হাসকে বলেছি, অধিকতর নিরাপত্তা চাইলে দেবো। তবে, তিনি যে ওই বাসায় যাবেন এটা তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানতো না। এই খবর লিক করলো কে জানতে চেয়েছি, সেটা পিটার জানাতে পারেননি। উনি একটু দুশ্চিন্তায় আছে।
তবে বাংলাদেশে গণমাধ্যম খুব সোচ্চার হওয়ায় তাদের আটকাতে পারবেন না বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, উনাকে জানিয়েছি, দেশে মিডিয়া সোচ্চার। কোনো জায়গায় যেতে সাংবাদিকদের বাধা দেয়া সম্ভব না।
জানা গেছে, পিটার হাস শাহীনবাগের যে বাসায় যান সেখানে থাকতেন সাজেদুল ইসলাম যিনি ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তার বোন সানজিদা ইসলাম গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’র সাথে যুক্ত। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যখন তাদের বাসায় যান, তখন বাইরে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ‘মায়ের কান্না’ নামের আরেকটি সংগঠনের কিছু সদস্য।
উল্লেখ্য, ‘মায়ের কান্না’ ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিদ্রোহ দমনের নামে সেনা ও বিমানবাহিনীর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত, কারাদণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বিচার প্রত্যাশা করে এই সংগঠনটি।
Leave a reply