পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সারাদেশে তালগাছের বীজ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদফতর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও বীজ রোপন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রামীণ সড়কের দু’ধারে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে। এছাড়া কাজের বিনিময়ে টাকা কর্মসূচি (কাবিটা) মাধ্যমে নতুন ও পুরনো রাস্তার দু’ধারে এসব গাছের চারা লাগানো হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি ভাল উদ্যোগ। গণমাধ্যমে কমবেশি প্রতিদিনই বীজ রোপনের খবর আসছে। একসাথে কোথাও তিন লাখ, কোথাও দুই লাখ আবার কোথাও ৫০ হাজার। কিন্তু এসবের পরও একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক চারা রোপনের পাশাপাশি সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা তালগাছ রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কী?
ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ বলে, তা আছে শূন্যের কোঠায়। অযত্ন, অবহেলা আর নজরদারির অভাবে এখনো মারা যাচ্ছে অথবা কাটা পড়ছে অনেক তালগাছ। আসল সমস্যাটা এখানেই। যেটা আছে, সমাজে সেটিরই মূল্যায়ন হয় না। প্রচলিত এ ধারায় প্রাপ্তির খাতাটা যে খুব বেশি ভারী হয় না তা কমবেশি প্রমাণিত। তাই ঢাকঢোল পিটিয়ে চারা লাগানোর আগে গাছ রক্ষার চেষ্টা থাকতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারণার পরিধি আরও বাড়ানো যেতে পারে। সেই সঙ্গে সরকারি তহবিল থেকে এ খাতেও যেন পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কেননা কোন কিছু অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করাই তো কঠিন।
রাকিব খান: সাংবাদিক
Leave a reply