মেসি-মারিয়ার গোলে প্রথমার্ধ শেষে স্বপ্নরাজ্যে আর্জেন্টিনা

|

ছবি: সংগৃহীত

লুসাইলে তৃতীয় শিরোপার লক্ষ্যে মুখোমুখি দুই দল। শুরু থেকে মাঝমাঠের দাপট ধরে রাখার চেষ্টা মেসিবাহিনীর। গ্রুপ পর্বের পর প্রথমবার প্রথম একাদশে ডি মারিয়া। শুরুতেই ফ্রান্সের রক্ষণে আলবিসেলেস্তেদের একের পর এক আক্রমণ কিন্তু লরিস ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু প্রেসিং ফুটবলে জবাবে ডিবক্সে পেছন থেকে ট্যাকল করার খেসারত দিতে হলো ফ্রান্সকে। মেসির পেনাল্টি এরপর মারিয়া ম্যাজিক। ফলাফল ২-০ গোলের লিডে বিরতিতে আলবিসেলেস্তেরা।

ম্যাচের ৮ম মিনিটে ডি পলের শট রক্ষণে প্রতিহত হলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। ১৮ মিনিটে ক্রস থেকে ডি বক্স বল পেলেও উপরে উড়িয়ে মারেন ডি মারিয়া। পরের মিনিটে আর্জেন্টিনার বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। কিন্তু জিরুর হেডে চলে যায় পোস্টের বাইরে।

২১ মিনিটে ডি মারিয়াকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন ডেম্বেলে। পেছন থেকে করা ট্যাকলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে মেসি গোল করে লিড এনে দেন আর্জেন্টিনাকে। এবারের আসরের ছয় গোলসহ বিশ্বকাপে মোট ১২ গোলের মালিক এখন লিওনেল মেসি।

গোল খেয়ে খেই হারিয়ে নিজেদের ছায়া হয়ে যায় ফরাসিরা। মাঝমাঠের খেলায় অনেকটাই হারিয়ে যায় ডেম্বেলে, কুন্দেরা। বলের দখল পুরোপুরি নিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা।

৩৬ মিনিটে প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান ২-০ করেন ডি মারিয়া। মেসির টোকা থেকে ফ্রান্সের ফাঁকা রক্ষণে বল থ্রু করেন আলভারেজ। সেই থ্রু ধরে ডি বক্সে ঢুকে পরেন ম্যাকঅ্যালিস্টার। গোলরক্ষককে একা পেয়েও পোস্টে শট নেননি এই ডিফেন্ডার। গোল নিশ্চিত করতে বল বাড়িয়ে দেন ডি মারিয়ার দিকে।

লরিসকে একা পেয়ে কোনো ভুল করলেন না আনহেল ডি মারিয়া। ২-০ গোলের লিডে শিরোপার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা।

এরপর প্রথমার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও সফল হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৮০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে ১ গোল শোধ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply