রমজানকে ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাইকার ও আমদানিকারকরা

|

সাইফুল ইসলাম:

রমজান মাস আসতে বাকি আরও অন্তত চার মাস। ওই সময়ে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে সতর্ক সরকার। ব্যবসায়ীরাও নিচ্ছেন প্রস্তুতি। তবে ডলার সংকটে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। পণ্যের দামের উঠানামায় খোলা যাচ্ছে না ঋণপত্র।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেভাগেই উদ্যোগ নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রমজানের আমদানির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রোজার মাসে বেড়ে যায় নিদিষ্ট কয়েকটি পণ্যের চাহিদা। তার মধ্যে রয়েছে ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুর, ছোলাসহ বিভিন্ন ধরনের ডাল। এসব পণ্যে মজুদ স্বাভাবিক রাখতে কয়েক মাস আগেই প্রস্তুতি নেয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এবার নানাবিধ সমস্যা বিদ্যমান।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যাংক আগে অনকেগুলো সুবিধা দিতো এলসিতে। এখন সেগুলো কমিয়ে ফেলছে। রোজার মধ্যে সরবরাহ যদি স্বাভাবিকভাবে চলে, তাহলে দাম নিম্নমূখী হবে।

বলা হচ্ছে, চাহিদা ও যোগানের হিসেব করে আগেভাগেই পণ্য আমদানি করতে হবে। অভিযোগ করা হয়, মিল পর্যায় থেকে পণ্য সরবরাহ বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছে।

ভোগ্যপণ্য ও তেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পদক আবুল হাসেম বলেন, যদি পণ্য মজুদ না থাকে, দেখা গেলো রমজান চলে আসলো, পণ্য জাহাজে রয়েছে, তাহলে চাহিদা মিটবে না। দামটা বৃদ্ধির থাকবে। এজন্য রমজান আসার আগেই চাহিদা অনুযায়ী পণ্য মজুদ থাকতে হবে।

৫ থেকে ৭টি প্রধান পণ্যের জন্য আমদানিকারক গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

ঢাকার মৌলভীবাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক তারেক আব্দুল্লাহ, বড় বড় কোম্পানিগুলো এটা নিয়ন্ত্রণ করে। পর্যপ্ত পরিমাণে এখনও সরবরাহ হচ্ছে না। সরবরাহ যদি বাড়ানো যায় তাহলে সমষ্যা হবে না।

এই ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন বলেন, টিসিবি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য দিতে পারে তাহলে এসব কোম্পানির ওপর নির্ভর করতে হবে।

রমজান মাসের পূর্বেই যদি বিশ্ববাজারে দাম কমে তার প্রভাব পড়বে দেশে। পাশাপাশি ঋণপত্র খোলাসহ ডলার সংকট সমাধান না হলে দাম বৃদ্ধিরও আভাস দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

বেশ কয়েক মাস ধরেই বেশি দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply