বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নানান ভাষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন বিশ্বকাপ ফুটবল। ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভাষার দেশ হলেও রাশিয়ায় স্বতস্ফুর্ত ছিলেন পুরো ফুটবল বিশ্বের সমর্থকরা। যাদের পেছনে কাজ করেছে ফিফার ১৭ হাজার ভলান্টিয়ার। আর স্বাগতিক দেশের ছিলো আরো প্রায় ২৫ হাজার সিটি ভলান্টিয়ার।
দেখতে দেখতে শেষ অঙ্কে হাজির রাশিয়া বিশ্বকাপের চিত্রনাট্য। অপেক্ষা এখন শুধু চ্যাম্পিয়নকে বরণ করে নেয়ার।
গেল একমাস বিশ্বের সেরা ৩২ দেশের সেনানীদের পারফরমেন্সে আবিষ্ট করে রেখেছে পুরো ফুটবল বিশ্বকে। তবে মাঠের বাইরে থেকে বিশ্বকাপকে আনন্দময় ও নির্বিঘ্ন করে তোলেন ভলান্টিয়াররা।
এবারের বিশ্বকাপে ফিফা নিযুক্ত ভলান্টিয়ার ছিলো ১৭ হাজার। যাদের কাজ ছিলো স্টেডিয়ামের ভেতরের পরিবেশ ঠিক রাখা। সমর্থকদের সব ধরণের সহায়তা দেয়া যাদের কাজ। বিশ্বকাপের আগে ১ লাখ ৭০ হাজার আবেদন থেকে তিন ধাপে মাত্র ১৭ হাজার ভলেন্টিয়ার নিয়োগ দেয় ফিফা। যার ৯৩ শতাংশ রাশান। আর বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিশ্বের বাকি দেশগুলো থেকে। যার মধ্যে ৪ জন রয়েছে বাংলাদেশি। আর অতিরিক্ত ২৫ হাজার সিটি ভলেন্টিয়ার ঠিক করে রাশিয়ার সরকার । যাদের কাজ আয়োজক শহরগুলোতে বিশ্বকাপ দেখতে আসা সমর্থকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা।
বিদায়ের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে। ততোই বন্ধনটা দৃঢ় হচ্ছে নানান দেশের, নানান বর্ণের এই ভলান্টিয়ারদের মধ্যে। সৃষ্ঠি হয়েছে হাজারো অনুভুতি।
এক ভলান্টিয়ার বলেন, আমার জন্য খুব আনন্দের মূহুর্ত এটি, এই মূহুর্ত কেউ বর্ননা করতে পারবে না। এখানে জীবনের সবচে ভালো সময় কাটিয়েছি এবং নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
অপর একজন বলেন, এটা আমার দেশ এবং আমি খুব খুশি মানুষ আমাদের দেশে আসেছে। আর এটা আমার জন্য খুব আনন্দের।
ফিফা কিংবদন্তি মাইকেল সালগাদো বলেন, বিশ্বকাপ সব সময়ই কিছু ভালো জিনিস বয়ে আনে। স্টেডিয়ামের সকল স্থানে আমি তাদের দেখেছি এবং আমি বলতে চাই রাশিয়ার বিশ্বকাপ তাদের জন্যই সফল হয়েছে।
লাখো মানুষের সাথে লড়াই করে স্বপ্ন পুরণ করতে এসেছিলেন মাঠে বা মাঠের বাইরে থাকা এই ভলেন্টিয়াররা। এই এক মাসে দারুন কিছু শিক্ষা, আনন্দময় অভিজ্ঞতা আর এক বুক ভালোবাসা নিয়ে এই তরুণ সৈনিকদের সময় এখন রাশিয়া বিশ্বকাপে বিদায় বলার।
Leave a reply