দক্ষিণ আটলান্টিক সংলগ্ন আর্জেন্টিনার ছোট্ট শহর মার দেল প্লাতা। সেখানেই জন্ম বিশ্বকাপজয়ী তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। সেখানকার সবাই অবশ্য ‘দিবু’ নামেই চেনেন বিশ্বকাপজয়ী এ গোলরক্ষককে। বুয়েন্স আয়ার্সে বিশ্বকাপ নিয়ে উদযাপন শেষে সাড়ে ছ’ লাখ মানুষের শহর মার দেল প্লাতায় ফিরেই ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী এ ফুটবলার। এদিন, দেড় লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন তাকে বরণ করে নিতে। আর, তাদেরকে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার গল্প শুনিয়েছেন মার্টিনেজ। খবর বুয়েন্স আয়ার্স টাইমসের।
আর্জেন্টিনার ছোট্ট শহর মার দেল প্লাতা। এখানেই জন্মেছেন আর্জেটিনার ৩য় বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বাড়ি ফিরতেই লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন মার্টিনেজ। মার্টিনেজের জন্য বানানো হয়েছিলো একটি বিশেষ স্টেজ।
স্টেজে উঠে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, আমার জন্মের পর এই প্রথম এখানে এতো মানুষকে একসাথে জড়ো হতে দেখলাম। মার দেল প্লাতায় আমিই প্রথম ব্যক্তি যে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু আমি চাই আমার শহর থেকে আরও ফুটবলার ও গোলকিপার তৈরি হোক। যারা আর্জেন্টিনাকে চতুর্থ ট্রফি আনতে সাহায্য করবে।
কাতারে ৩৬ বছরের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে আর্জেন্টিনা। পূর্ণ হয়েছে গ্রেটেস্ট ফুটবলার লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ জয়ের ইচ্ছেটাও। কোনো কিছুই যে আর পাওয়ার বাকি নেই ৭ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এ তারকার। আর, বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে মেসির অর্জন পরিপূর্ণ করতে কাতারে খুব সম্ভবত সবচেয়ে বড় অবদানটা রেখেছেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
মেসি প্রসঙ্গে এমিলিয়ানো বলেন, একজন আর্জেন্টাইন হিসেবে আমার স্বপ্ন ছিলো মেসিকে একটি কোপা আমেরিকা ও ফিনালিসিমার ট্রফি এনে দেয়া। আর, আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক হিসেবে আমার সবচাইতে বড় স্বপ্ন ছিলো ইতিহাসের সেরা ফুটবলারের হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি এনে দেয়া। আমি মেসিকে ধন্যবাদ দিয়েছিলাম স্বপ্নের ট্রফি অর্জনে তার অবদানের জন্য। বিপরীতে সেও আমাকে ধন্যবাদ জানায় তাকে বিশ্বকাপ এনে দেয়ার জন্য।
বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি গোল্ডেন গ্লাভসটাও নিজের করে নিয়েছেন এ তারকা গোলকিপার। সারা দুনিয়ার মানুষের সামনে প্রমাণ করেছেন চাইলেই স্বপ্নকেও বাস্তবে রূপান্তর করা সম্ভব।
/এসএইচ
Leave a reply