জীবন থাকতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে দিবো না: প্রধানমন্ত্রী

|

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বক্তব্যরত প্রধানমন্ত্রী।

জীবন থাকতে মানুষের স্বার্থ নষ্ট হতে দিবো না- বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আমার লক্ষ্য ছিল একটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেনো ব্যর্থ না হয়। এজন্য দেশের মানুষের ভোট দেয়ার সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। জীবন থাকতে মানুষের স্বার্থ নষ্ট হতে দিবো না। ভোট চুরি করলে এদেশের মানুষ কোনোদিন মেনে নেয় না, মেনে নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, এটা অন্তত আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে মেনে নিতে পারি না। বিএনপি সরকার যখন দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো তখন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণকে সেখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসেছে। আমরা সমগ্র বাংলাদেশে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশিদের মাথপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে উন্নয়ন দিয়েছে, সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে। অন্যদিকে, দেশকে হত্যা ,খুন, জঙ্গিবাদ আর বিদ্যুৎবিহীন খাম্বাই শুধু দিয়েছে বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করেছি। স্বাক্ষরতার হার ৭৫.২ ভাগে এনেছি আমরা। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা, বিনামূল্যে বই দেয়া, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও দক্ষ মানুষ গড়ে তুলতে কারিগরী শিক্ষা বিস্তারের জন্য আমরা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দিয়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি। স্কুল, কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি।

দারিদ্র বিমোচন ও যোগাযোগ উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দারিদ্র্যসীমা ৪৪ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমরা স্যাটেলাইট স্থাপন করেছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছি। পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে দেশে অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন করেছি।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০ টার কিছু আগেই সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে স্বাগত জানান কাউন্সিলর-ডেলিগেটস ও নেতাকর্মীরা।

পরে, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। এরপর শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শুরু হয় বৃহৎ ও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন। এবারের প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’। উদ্বোধনের পর শুরু হয় সম্মেলনের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply