টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ানের বদলে তার দলে আসাটা সহজে মেনে নিতে পারছে না ক্রিকেট সমর্থক, সংশ্লিষ্ট থেকে শুরু করে অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শুরু হয়েছে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা। বলা হচ্ছে, রিজওয়ানকে কে বাদ দিয়েছে, নতুন প্রধান নির্বাচক শহীদ আফ্রিদি নাকি অধিনায়ক বাবর আজম! খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের।
বছরের শেষে এসে সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০’তে টেস্ট সিরিজ হারার ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে বাবর আজমরা। দলের এমন ভরাডুবিতে রমিজ রাজাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদে আনা হয়েছে পরিবর্তন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে করাচি টেস্টে পাকিস্তানের দলে আনা হয় দুইটি পরিবর্তন। সরফরাজের সাথে দলে এসেছেন বাঁহাতি পেসার মীর হামজা। কিন্তু রিজওয়ানকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তে নাখোশ অনেক পাকিস্তান সমর্থক।
করাচি টেস্টে টসের পর পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম জানান, ২০১৯ সালে সবশেষ টেস্ট খেলা সরফরাজ খেলবেন রিজওয়ানের বদলে। এর আগে, পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক শহীদ আফ্রিদি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রিজওয়ানের ব্যাপারে আগেই বলেছি, হয়তো অন্যদের সুযোগ দেয়ার সময় এসে গেছে। আমি বলছি না, রিজওয়ান বাদ পড়েছে। তবে তার বিশ্রামের প্রয়োজন হতে পারে। আমরা সিরিজ হেরেছি এবং তৃতীয় টেস্টও হবে করাচিতেই। তাই সরফরাজ বা শান মাসুদের মতো কাউকে সুযোগ দেয়া যেতেই পারে।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে রিজওয়ানকে দলে না রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনা। ক্রিকক্রিটিক নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইটে বলা হয়, প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে আফ্রিদি আসার দুইদিন পরই তিনি রিজওয়ানকে বাদ দিতে পেরেছেন। কারণ, নিজের দলের খেলোয়াড়দের সপক্ষে কথা বলার মতো দৃঢ়তা নেই বাবর আজমের।
আরও পড়ুন: লিসান্দ্রো এখনও বুয়েনস আইরেসের রাস্তায় পার্টি করছে: টেন হাগ
/এম ই
Leave a reply