স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর)। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ইভিএম, সিসিটিভি ক্যামেরাসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি। এছাড়া কেন্দ্রে পৌঁছেছেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। নির্বাচনকে ঘিরে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নগরীর সীমানায় সংযোগ সড়কে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, উৎসব মুখর ও মডেল নির্বাচন করতে চান তারা। এছাড়া গোপন কক্ষে একজনের বেশি কেউ প্রবেশ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি অনিয়মের সাথে ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত কেউ জড়িত থাকলে সেই দায় নেবে না ইসি এবং মহানগর পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্র জানিয়েছে, এবারের সিটি নির্বাচনে ভোটার ও ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৭ সালে ১৯৩টি কেন্দ্র থাকলেও ৩৬টি বেড়ে হয়েছে ২২৯টি। এছাড়াও এবার স্থায়ী ভোট কক্ষ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪৯টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ১৯৩টি। গত ২০১৭ সালের ভোটার সংখ্যার তুলনায় এবার ভোটার বেড়েছে ৩২ হাজার ৫৭৫ জন। গত বছর ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন ভোটার থাকলেও এবার ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনে। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন, মহিলা ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর আরও জানিয়েছে, ভোট অনুষ্ঠানের জন্য ১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার পাশাপাশি ১১ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৩৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ২ হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসারসহ মোট ৪ হাজার ২৭৬ জন ব্যক্তিকে নিযুক্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ প্রায় ৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে।
নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, হাত পাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল, গোলাপ ফুল প্রতীকের খোরশেদ আলম খোকন, দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের শফিয়ার রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লতিফুর রহমান মিলন ও মেহেদী হাসান বণি মেয়র পদে এবং ১৭৮ জন সাধারণ এবং ৬৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নূরে আলম মিনা জানান, একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, ইনক্লুসিভ, উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটারদের ভোটদান নিশ্চিত এবং নিরপেক্ষভাবে ফলাফল প্রদানের মাধ্যমে মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রস্তুত।
এএআর/
Leave a reply