করোনার আশঙ্কাজনক বিস্তারের মধ্যেই বিধিনিষেধ শিথিল করে চলেছে চীন, যা উদ্বেগ তৈরি করছে বিশ্বের জন্য। আবারও মহামারির তীব্রতা ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বিভিন্ন দেশ। খবর সিবিএস নিউজের।
শুরু থেকে মহামারি ঠেকাতে ‘জিরো কোভিড’ নীতি অনুসরণ করলেও তীব্র বিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি একের পর এক বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরু করে চীনা সরকার। দেশটি যখন ভাইরাসটির আরেকটি ভয়াবহ ওয়েভের কবলে, ঠিক তখনই কড়াকড়ি শিথিল করা হচ্ছে। আর এতেই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কপালেও।
বি এফ সেভেনটিন ভ্যারিয়েন্টের লাগামহীন বিস্তারে হিমশিম অবস্থা চীনের হাসপাতালগুলোতে। সেখানে বেড়েই চলেছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত শিফটে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের। বুধবার একজনের মৃত্যুর খবরও জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্যবিভাগ। তবে আক্রান্ত ও প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেই করোনার নানা বিধিমালা বাতিল করছে চীন প্রশাসন। বিদেশফেরতদের জন্য কোয়ারেন্টিন বিধিমালা ও পিসিআর টেস্ট বাতিলের মতো পদক্ষেপও নিয়েছে বেইজিং। এ অবস্থায় চীন ফেরতদের ক্ষেত্রে সাবধানতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেক দেশ। ভারত, জাপান, তাইওয়ানের পথ ধরে এবার চীনফেরত যাত্রীদের জন্য কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রও।
এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। চীনসহ যেসব স্থানে করোনার বিস্তার রয়েছে, সেসব অঞ্চল নিয়ে স্বাস্থ্যবিদদের পরামর্শ নেবো। আপাতত ভ্রমণ বিষয়ক কড়াকড়িতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।
এর আগে গত সপ্তাহেই, করোনার যাবতীয় তথ্য প্রকাশ না করার ঘোষণা দিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দৈনিক লাখ লাখ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে। সমাধিস্থলে ভিড় দেখে ধারণা করা যায়, প্রাণও হারাচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।
এসজেড/
Leave a reply