৩৬ পেরিয়ে ৩৭ বছরে পা রাখলো দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি। প্রতিষ্ঠার এই দিনে নীতিনির্ধারকরা জানালেন, দলকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায় জনগণ। তাদের দাবি, ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয় পার্টি যে উন্নয়ন করেছে তার সুফল এখনও ভোগ করছে মানুষ। আগামী নির্বাচনে ৩শ’ আসনে এককভাবে প্রার্থী দেয়ার কথাও ভাবছে এই দলটি।
গণতন্ত্র রক্ষায় ১৯৯১ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পল্লি বন্ধু এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টি। এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলটি এখন জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল।
সময়ের পথ পরিক্রমায় জাতীয় পার্টি এখন অনেক পরিণত। রাজধানীর পাশাপাশি সমানভাবে সারাদেশের উন্নয়ন করাই ছিলো সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের মূলমন্ত্র। সে সময় ব্যাপক সাড়া ফেলে ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে এই স্লোগান। নেতারা মনে করে প্রান্তিক মানুষ ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের কারণেই এরশাদকে এখনও মনে রেখেছে দেশবাসী।
দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, এরশাদ বেঁচে না থাকলেও তার আদর্শ নিয়েই এগিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি। নেতারা বলেন, এরশাদের দেখানো পথেই তৃণমূলকে সাথে নিয়ে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চায় তারা।
জাতীয় পার্টিৱ কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, সংকট ও সংগ্রামে জাতীয় পার্টি জনগণের পাশে থেকে গঠনমূলক রাজনীতি করে যাচ্ছে। পল্লী বন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সাধারণ জনগণের কথা ভাবতেন। আমরাও সেই ভাবনাগুলোকে বাস্তবায়ন করার জন্য তৃণমূলকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কর্মীদের বলবো, ৩২ বছর আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন। এবার জাতীয় পার্টির সময় এসেছে মানুষের রায় নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার। তাই আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দেব। সেই লক্ষ্যেই আমাদের সমস্ত কর্মসূচি ও প্রোগ্রাম।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অংশীদার হলেও জাতীয় পার্টি সবসময়ই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব বলে জানান নেতারা। বলেন, আগামী দিনগুলোতেও সংসদ ও রাজপথে জনগণের কথা বলাই হবে জাতীয় পার্টির মূল লক্ষ্য।
এটিএম/
Leave a reply