রাতে শ্বশুরের সাথে মদপান করে ভোররাতে শাশুড়িকে নিয়ে পালালেন জামাই। মদের নেশায় বুঁদ হয়ে কার্যত বেহুঁশ হয়ে যান শ্বশুর। এই সুযোগেই পালিয়ে গিয়েছেন জামাই-শাশুড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের সিরোহি জেলার আনাদারা এলাকায়। খবর নিউজ এইটিনের।
খবরে বলা হয়, শ্বশুরের সঙ্গে মদ পানে বসে গল্প করছিলেন জামাই। মদের নেশায় বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিলেন শ্বশুর। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার স্ত্রী বাড়িতে নেই। এমনকি খোঁজ মিলছে না জামাইয়েরও। পরে তিনি জানতে পারেন, তার স্ত্রী অর্থাৎ শাশুড়ির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল জামাইয়ের। রোববার রাতে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে গিয়েছেন শাশুড়ি-জামাই।
খবরে আরও বলা হয়েছে, শাশুড়ির বয়স ৪০ বছর এবং জামাইয়ের বয়স ২৭ বছর। ইতোমধ্যে পলাতক জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বশুর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মদ খাইয়ে প্রথমে তাকে বেহুঁশ করে দেয়া হয়। তারপরে শাশুড়িকে ফুঁসলিয়ে জামাই পালিয়ে যায়।
নিজের অভিযোগে শ্বশুর রমেশ জানিয়েছেন, মেয়ে কৃষ্ণার বিয়ে হয়েছিল মামাওয়ালির বাসিন্দা নারায়ণ যোগীর সঙ্গে। বিয়ের পর তার মেয়ে ও জামাই বাড়িতে মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করতেন। গত ৩০ ডিসেম্বর জামাই শ্বশুর বাড়িতে আসে। তারপরেই রাতে ওই কাণ্ড ঘটে। ভোর ৪টার দিকে ঘুম থেকে উঠে গোটা বিষয়টি বুঝতে পারেন রমেশ।
পুলিশ জানিয়েছে, জামাই শাশুড়িকে অপহরণ করার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পলাতক শাশুড়ির তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। চার সন্তানের প্রত্যেকেই বিবাহিত। জামাইয়েরও তিন সন্তান রয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ইউএইচ/
Leave a reply