রিমন রহমান:
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে কিছুটা থমকে গেছে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন। তবে, বড় প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করেনি সরকার। মূলত, তিন কারণে কমছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার। এর মধ্যে দুইটি কারণ পুরনো, আরেকটি নতুন। প্রকল্প পরিচালকদের অনীহা, নানামুখী চাপ এবং অর্থের যোগান কমিয়ে দেয়াই ধীরগতির কারণ।
কয়েক মাস ধরেই নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে না। তারপরও কমছে বাস্তবায়ন হার। অর্থবছরের পাঁচ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৮ শতাংশ। গেলো অর্থবছরের চেয়ে যা কিছুটা কম।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলছেন, কাজের গতি বাড়াতে চেষ্টার ত্রুটি নেই। কিন্তু ফলাফল আশাপ্রদ নয়। আরও বললেন, প্রকল্প পরিচালক যারা, তারা খোলা হাতে কাজ করতে পারে না, আমার ধারণা। তাদের যেটুকু কাজ করা করার কথা, সে দায়িত্ব তাদের দেয়া হয় না। ঢাকায় বসে তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণটা বজায় রাখি। লিখিত লাগে না, এমনিতেই ভয় পায়।
এদিকে, সরকারের কৃচ্ছতাসাধন নীতির কারণে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমে যাবার ক্ষেত্রে এটি নতুন কারণ।
এম এ মান্নান বলেন, টাকা পয়সার টান আছে। বাজেটে যে বরাদ্ধ রেখেছিলাম, অর্থ মন্ত্রণালয় তাতে বাধ্য হয়ে নানা হুঁশিয়ারি করছে। এই মাসে যেখানে পিডিকে ১০০ টাকা দেয়ার কথা ছিল, সেখানে তাকে বলছি ২০ টাকা নিতে। সবমিলিয়ে বাস্তবায়নের হার একটু মন্দার দিকে আছে।
একক মাস হিসেবে শুধু গেলো নভেম্বরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ করেছে প্রায় ৬ ভাগ। বলা হচ্ছে, অর্থ ব্যবহারে সব সময়ই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা দরকার।
অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, আমাদের এমন কোনো অঢেল সরকারি সম্পদ নেই যে অপচয়ের সুযোগ আছে। উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। যাতে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে যেতে পারি।
চলতি অর্থবছরের গেলো জুলাই থেকে নভেম্বর, এই ৫ মাসে ৪৭ হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
/এমএন
Leave a reply