মেগানকে বিয়ে করায় মারধর করেন উইলিয়াম, বিস্ফোরক সব তথ্য প্রকাশ্যে প্রিন্স হ্যারির বইয়ে

|

ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঐতিহ্য আর আভিজাত্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে কতো কদর্যতা, তার হয়তো হিসেব নেই। যদিও, মাঝেমধ্যেই রাজবাড়ির বাসিন্দাদের নানা কর্মকাণ্ড আর বক্তব্যে আলোয় আসে সেসব অন্ধকার দিক। প্রিন্সেস ডায়ানার পর এবার সেই অন্ধকার অংশ খোলাখুলিভাবে জনসম্মুখে নিয়ে এসেছেন প্রিন্স হ্যারি। সম্প্রতি হ্যারির বই ‘স্পেয়ার’ এর কিছু অংশ ফাঁস করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম। সেখান থেকেই জানা গেল ব্রিটিশ রাজপরিবারের আরও অজানা ও গোপনীয় ঘটনা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

আগামী মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) মুক্তি পাবে প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথা সম্বলিত বই ‘স্পেয়ার’। বইয়ে নিজের বিয়ে নিয়ে রাজপরিবারের আপত্তির কথা তুলে ধরেছেন হ্যারি। তিনি জানান, পরিবারের অমতে মেগান মার্কেলে বিয়ে করায় রীতিমতো মারধর খেতে হয়েছিল তাকে। বিষয়টি নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে মারধর করেন বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম।

বইয়ে আরও অজানা তথ্য সামনে নিয়ে এসেছেন হ্যারি। তিনি বলেন, সৎ মা ক্যামিলাকে অপছন্দ ছিল তার ও উইলিয়ামের। দুই ভাই মিলে এ বিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

স্মৃতিকথায় কোকেন ও গাঁজার মতো মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন হ্যারি। তিনি জানান, মাত্র ১৭ বছর বয়সেই কোকেইন নেন তিনি। সামরিক বাহিনীতে কাটানো সময়ের বর্ণনাও দিয়েছেন প্রিন্স। তিনি জানান, আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালনের সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়ে ২৫ তালেবান সদস্যকে হত্যা করেছেন হ্যারি।

প্রিন্সের এসব বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছে, বাকিংহাম ও কেনসিংটন প্রাসাদ। তবে, মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে সাধারণ ব্রিটিশদের মধ্যে।

মেগান মার্কেলকে বিয়ে করা নিয়ে তিক্ততার মধ্যে, কয়েক বছর আগেই রাজপরিবারের উপাধি পরিত্যাগ করে প্রাসাদ ছাড়েন প্রিন্স হ্যারি। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় রাজবাড়ি নিয়ে নিজের ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানিয়েছেন তিনি। রানির মৃত্যুর পর অনেকেই ধারণা করছিলেন এবার সম্পর্কের বরফ গলবে। তবে নতুন স্মৃতিকথায় স্পষ্ট হলো, সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়েছে অনেক।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply