টানা কয়েক বছর রেকর্ড প্রবৃদ্ধির পর চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং। এক বছরে কমেছে ৭২ হাজার টিইউএস। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মন্দা, ডলার সংকট আর এলসি খোলার জটিলতায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, ২০২০ সালে করোনা মহামারীর ধাক্কায় ধারাবাহিক এই প্রবৃদ্ধিতে ছেদ পড়লেও তা দ্রুতই কাটিয়ে উঠে কর্তৃপক্ষ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মন্দা আর ডলার সংকটে আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে চট্টগ্রাম বন্দর। দুই বছরের ব্যবধানে আবারও কমেছে প্রবৃদ্ধি।
তবে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ এবং জাহাজ আগমনের হার। জাহাজ ভিড়েছে ৪৩৬১টি। যা আগের বছরের চেয়ে ১৫২টি বেশি। মার্চের পর আমদানি রফতানি বাড়বে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
২০২০ সালে করোনাকালেও চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছিল আগের বছরের তুলনায় ২ লাখ, যার প্রভাব পড়ে লয়েড লিস্টের তালিকায়, ৫৮ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান দাঁড়ায় ৬৭ তে। পরের বছর ৩ ধাপ এগিয়ে গেলেও, প্রভাব পড়তে পারে এবার।
ব্যবসায়ীরা জানান, হয়ত মার্চ-এপ্রিলের দিকে আমাদের ক্রয় আদেশ বাড়বে, রফতানি বাড়বে। আমরা হয়ত আবার স্বাভাবিকের দিকে ফিরে যাব। সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মন্দা, বিলাস দব্যের ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা সবমিলিয়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এবার কিছুটা কম।
সাইফ মেরিটাইম সিইও আবদুল্লাহ জহির বলেন, ২০২২ সালে দিকে আমাদের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমে গেছে। আমাদের জন্য ২০২৩ সালটা খুব চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশের আমদানি রফতানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশই সম্পন্ন হয়, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।
এএআর/
Leave a reply