১৯৫ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৬ বল হাতে রেখেই টানা দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে সিলেট সিক্সার্স। নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বৃথা যায় সাকিবের ৩২ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষ মুহূর্তে থিসারা পেরেরার ২ ছক্কায় ৬ উইকেটের জয় পায় সিলেট সিক্সার্স।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বরিশাল শুরু থেকেই ছিল দাপুটে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা আর আনামুল বিজয়। ২৯ রানে বিজয় ফেরার পর চাতুরাঙ্গাও বেশি সময় থাকতে পারেননি। ৩৬ রান আসে এই লঙ্কান ব্যাটারের ব্যাট থেকে।
এরপর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। ৩য় উইকেটে ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে গড়েন ২০ বলে ৩৫ রানের জুটি। ১৩ রান করে মাশরাফীর ২য় শিকারে পরিণত হন ইফতেখার।
৪র্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে সাকিব গড়েন ২০ বলে ৩০ রানের জুটি। ১২ বলে ১৯ রান করে রিয়াদ আউট হন থিসারা পেরেরার বলে।
তবে একপাশ আগলে ছিলেন সাকিব। ২৬ বলে ফিফটি করার পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। ইনিংসের ১৯.১ ওভারের শুরুতে মাশরাফীর বলে মোহাম্মদ আমিরের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৬৭ রান। যা সাজানো ছিল ৪টি ছক্কা আর ৭টি চারের মারে।
শেষ দিকে কারিম জানাতের ১৭ রানের ক্যামিওতে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানে থামে ফরচুন বরিশালের ইনিংস।
১৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১ রানের মধ্যেই ডাচ ওপেনার কলিন আকারম্যানের উইকেট হারায় সিলেট। এরপর নাজমুল হাসান শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় মিলে গড়েন ১০৪ রানের অনবদ্য এক জুটি। ৪৮ রান করে শান্ত রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়লেও হৃদয় ঠিকই অর্ধশতক পূর্ণ করেন। করিম জানাতের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৫৫ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর শুরু হয় জাকির হোসেনের টর্নেডো ব্যাটিং। ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ১৮ বলে ৪৩ রানের একটি বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। জাকিরকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১১ বলে ২৩ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। শেষ দুই ওভারে সিলেট সিক্সার্সের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। খালেদ আহমেদের ১৯ তম ওভারে ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন থিসারা পেরেরা। আর সেই সাথে ৬ উইকেটের জয় পায় সিলেট সিক্সার্স।
/আরআইএম
Leave a reply