পুঁজিবাজারে ‘ফ্লোর প্রাইস’ নিয়ে চলছে বিতর্ক

|

তৌহিদ হোসেন:

পুঁজিবাজারের ফ্লোর প্রাইস নিয়ে জটিলতা কাটছেই না। সূচক ভালো থাকার শর্তে শেয়ারের এই মূল্যস্তর ধরে রাখার পক্ষে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

তবে ব্রোকারেজ মালিকরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের অস্থায়ী নিয়ম দীর্ঘদিন বহাল রাখলে হিতে বিপরীত হবে। তাই নতুন কৌশল নেয়া উচিৎ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। এ অবস্থায় বিএসইসিকে হুটহাট সিদ্ধান্ত না নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে বিএসইসি শেয়ারের সর্বনিম্ন দরের সীমা বেধে দিলে বাজারে কিছুটা গতি ফেরে। কিন্তু শেয়ারের কৃত্রিম দামের ভয়ে বেচাকেনায় আগ্রহ হারান অনেক বিনিয়োগকারী। আর তাতে ক্রেতা হারায় সিংহভাগ শেয়ার। লেনদেন ২শ’ কোটি টাকা পার করেনি একাধিক দিন।

এর জেরে গেলো ২২ ডিসেম্বর ১৬৯টি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। বলা হয়, এমন সব শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তোলা হয়েছে, যেগুলোর বাজার মূলধন কম। তাই প্রভাব পড়বে না সূচকে। তারপরও আতঙ্কে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকাররা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে অস্বাভাবিকভাবে স্থির হয়ে আছে শেয়ারের দাম। হাত গুটিয়ে বসে আছেন সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাজেদুল ইসলাম বলেন, যেসব বিনিয়োগকারী দেখেশুনে বিনিয়োগ করেন, তারা বাড়তি ফ্লোর প্রাইসে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ করবেন না। এটা স্বাভাবিক বিষয়। আমার মনে হয়, এই মুহূর্তে ফ্লোর প্রাইস কাজ করছে না।

রিজার্ভ জটিলতা ও ব্যাংকের তারল্য সংকটের খবরে পুঁজিবাজার টালমাটাল। তাই, কয়েক ধাপে হলেও ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যেসব কারণে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছে, এসব কারণ অন্যান্য ইকোনোমিতেও আছে। ওরা তো দেয়নি, এমন কী ঘটে গেলো যে আমাদের দিতেই হবে। আর ফ্লোর প্রাইস কোনো সমাধান না। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বলেছে, এটা অস্থায়ী। আশা করি এটি তোলে নেবে।

ফ্লোর প্রাইস নিয়ে জটিলতা সমাধানে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেছে বিএসইসি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply