প্রত্যেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ থাকে। মিরপুর আর চট্টগ্রামের মতো ভিন্নধর্মী উইকেটে খেলে তাই নিজেকে ঝালিয়ে নিতে বিপিএলে এসেছেন ডেভিড মালান। তবে এ ধরনের টুর্ণামেন্টে ডিআরএস থাকা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
টুর্নামেন্টের বয়স মাত্র দু’দিন পেরোলো। এরই মধ্যে সময় মতো জার্সি না পাওয়া, ভুল ইংরেজির ট্যাগ লাইন, ডিআরএস জটিলতা, ম্যাচ টাইমে হেরফের, আম্পায়ারিং বিতর্ক কিংবা ক্যাপটেন্সি নিয়ে লুকোচুরি খেলা। কে বলে বিপিএল আলোচনায় নেই? অবশ্য শব্দটা সমালোচনা বললেই মানায় বেশি।
ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল থেকে শুরু করে এবিডি ভিলিয়ার্স, সুনীল নারাইন, ব্রাভো, পোলার্ড, স্মিথ- কে খেলেননি বিপিএলে? তবে টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় ফেরিওয়ালাদের এখন আর কেনো টানে না বাংলাদেশের এই ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগ? অর্থ কড়ির ঝনঝনানির অভাব নাকি ব্র্যান্ড ভ্যাল্যুর? ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা অন্যান্য লিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও টি-টোয়েন্টি র্যাংকিং এর ৬ নাম্বারে থাকা মালান কেনো আগ্রহ দেখালেন বিপিএলে?
ঢাকা আর চট্টগ্রামে দুটি ভিন্ন কন্ডিশনে নিজেকে মানিয়ে নেবার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না মালান। জানালেন, ভবিষ্যতের জন্যই এ টুর্নামেন্টে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
গেলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন ব্যর্থ। সবশেষ আবুধাবি টি-টেন লিগেও চেন্নাই ব্রেভস এর হয়েও একপ্রকার ব্যর্থই ছিলেন মালান। তবে আইপিএল থেকে শুরু করে সবধরনের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলার অভিজ্ঞতা তো তার রয়েছেই। বিপিএলের আম্পায়ারিং বিতর্ক কিংবা ডিআরএস জটিলতাকে কিভাবে দেখছেন মালান?
তার মতে, এ আসরে অবশ্যই ডিআরএস থাকা উচিত ছিলো। অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলোর মতো বিপিএলেরও জনপ্রিয়তা আছে। আসরটি আরও আকর্ষনীয় ও জমজমাট করতে উন্নতি প্রযুক্তির কোনো বিকল্প দেখেন না মালান।
অনেক অপ্রাপ্তির ভিড়ে সিলেট-বরিশালের ম্যাচে দেখা মিলেছে চার-ছক্কায় ভরপুর ক্রিকেটের। তৌহিদ হৃদয় আর জাকির হাসানের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের ব্যাটে মিরপুরে এমন রান চেইজিং মুগ্ধ করেছে ক্রিকেট ভক্তদের। কদিন আগেই ভারত সিরিজে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করা জাকির হাসানের প্রায় ২৪০ স্ট্রাইক রেটে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং।
সাইফুদ্দিন আর শেখ মেহেদি ছাড়া গত আট আসরে বিপিএল থেকে উঠে আসেনি বড় কোন নাম। ভক্তদের চাওয়া সব সমালোচনা পাশ কাটিয়ে দু-একটি ভালো ক্রিকেটার অন্তত উঠে আসুক বিপিএল থেকে।
/এ এইচ
Leave a reply