সেঞ্চুরির বিপরীতে সেঞ্চুরি, রানের বিপরীতে রান। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সোমবার দিনের ২য় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারালো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে আজম খানের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার উসমান খানের সেঞ্চুরিতে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৪ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য পৌছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যা আসরে তাদের প্রথম জয়।
মিরপুরে দিনের ২য় ম্যাচে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ১২ রানে উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মইন খানের ছেলে আজম খান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন খুলনাকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি।
৮টি ছয়, ৯টি চারে ইনিংস সাজান আজম। ৩৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করা ডানহাতি ব্যাটার সেঞ্চুরি করতে খেলেন ৫৭ বল। ছক্কা মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছান এ ক্রিকেটার। শেষ বলেও মারেন ওভার বাউন্ডারি।
২৪ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের বিধ্বংসী ইনিংসে খুলনা ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৮ রান। দলটির ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। নবম বলে রানের খাতা খোলেন তামিম। নড়বড়ে শুরুর পরও দু’বার জীবন পান ১৫ ও ৩১ রানে। ৩৭ বলে ৫টি চার ও একটি ছয় মারেন এ বাঁহাতি। চট্টগ্রামের পক্ষে আবু জায়েদ রাহি দুটি উইকেট নেন।
১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য দারুন শুরু করেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার উসমান খান আর ম্যাক্স প্যাট্রিক। ৯০ বলে ১৪১ রানের জুটি গড়ে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন তারা। ডাচ ক্রিকেটার ম্যাক্স ৫০ বলে ৫৮ রান করে আউট হলেও, অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তার সতীর্থ উসমান খান।
স্বদেশী আজম খানের দেখানো পথে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করেন উসমান। আজমের মত এটি ছিলো তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তার অপরাজিত ১০৩ রানে ভর করে ১ উইকেট হারিয়ে ৪ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌছে যায় চট্টগ্রাম। ম্যাচ সেরা হয়েছেন দলের জয় নিশ্চিত করা উসমান খান।
/এ এইচ
Leave a reply