গত এক বছরে ঘরের মাঠে ৮ টেস্ট খেলেও জয়হীন পাকিস্তান। এমন পারফরমেন্সে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে। সবশেষ নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মলনে বিতর্কের জন্ম দেন তিনি। টেস্টে তার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়া উচিত কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মেজাজ হারান বাবর। বারবার এমন সমালোচনার সম্মুখীন হয়ে বিরক্ত বারর। তাই তো সংবাদকর্মীর প্রশ্ন সরাসরি এড়িয়ে যান তিনি।
ব্যাটে তার রানের ফুলঝুরি। সাদা কিংবা রঙিন, সব জার্সিতেই তার ব্যাট যেনো তরবারি। একের পর এক রেকর্ড গড়ে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য এক উচ্চতায়। গত বছরও তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক ব্যাটার। সেই বাবর আজমের অধিনায়কত্ব জন্ম দিচ্ছে হতাশার! বিশেষ করে সাদা পোশাকে। গত বছর ঘরের মাঠে ৮ ম্যাচ খেলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। তাই তার টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না।
সম্প্রতি ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের সাথে টেস্ট সিরিজে কোনো মতে ড্র করে পাকিস্তান। এরপর, সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয় টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়বেন কি না? উদাহরণ টানা হয় শচীন, লারা ও সাঈদ আনোয়ারদের। যারা সেরা ব্যাটার হয়ে অধিনায়ক হিসেবে সফল ছিলেন না।
কিন্তু, সে প্রশ্নেই মেজাজ হারান বাবর। উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। লাল বল নয়, বরং সাদা বলের খেলা নিয়ে প্রশ্ন করার আহ্বান তার। অবশ্য, এটিই প্রথম নয়। এর আগেও গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাবর।
প্রসঙ্গত, টেস্টে ব্যর্থতার দায়ে প্রায়ই সাবেক ক্রিকেটারদের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় বাবরকে। পাকিস্তানের টেস্ট পরিসংখ্যানও সে সব সমালোচনার পালে হাওয়া দেয়। ২০২২ সালে ১০টি টেস্ট খেলেছে পাকিস্তান। যেখানে তাদের জয় আছে মাত্র ১টিতে। আর বাকি ৯ টেস্টের মধ্যে ৫ টিতেই হেরেছে, বাকিগুলোতে কোনো মতে ড্র করে পার পায় পাকিস্তান। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায়ও পাকিস্তানের অবস্থান তলানিতেই। দলের এমন অবস্থার দায় তো অধিনায়ককেই নিতে হবেই!
/এসএইচ
Leave a reply