ভাসমান বইমেলা, দেশে দেশে ঘুরে বই ফেরি করে বেড়ায় জাহাজ

|

লাগোস হোপ নামের এ জাহাজটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান বইমেলা বলে দাবি আয়োজকদের। ছবি : সংগৃহীত

লাগোস হোপ, এই জাহাজ দেশে দেশে ঘুরছে বই নিয়ে। পুরো জাহাজটিকেই বানানো হয়েছে গ্রন্থাগার। তাতে থরে থরে সাজানো রয়েছে বই।

বিশ্বব্যাপী বইপ্রেমীদের কাছে নানা ধরনের বই পৌঁছে দিতে দেশে দেশে ঘুরে বেড়ায় লাগোস হোপ। দুই সপ্তাহের জন্য বর্তমানে জাহাজটি মিসরে অবস্থান করছে। দেশটির নাগরিকরা বিভিন্ন দেশের বই কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। খবর ইজিপ্টশিয়ান স্ট্রীটসের।

বলা হচ্ছে, জাহাজটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান বইমেলা। পাঁচ দশক ধরে এই বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

জার্মানি ভিত্তিক সংস্থা জিবিএ শিপের অধীনে পরিচালিত হয় এ বই মেলা। বিশ্বের অন্তত ৬০টি দেশের ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী ক্রু হিসেবে কাজ করছেন জাহাজটিতে। নিজস্ব সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে কাজ করেন তারা।

লোগোস হোপের ক্যাপ্টেন জেমস বেরি জানান, এটি বেশ বড় একটি জাহাজ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বইমেলা এটি। বিশ্বের অন্তত ৬০টি দেশের ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী ক্রু আছে আমাদের। এখানে নানা ধরনের বই রয়েছে। সবার জন্যই এটি উন্মুক্ত। সবাইকে মেলায় আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এবারই প্রথম নয়, এর আগে ২০১০ সালেও মিসরে এসেছিল এই ভাসমান বইমেলা। নানা দেশের নানা ভাষার অন্তত ৫ হাজার ধরনের বই রয়েছে মেলায়।

দর্শনার্থী রেদা ফারাগ জানান, আগেরবারের চেয়ে অনেক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি এবার। বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশের বই আছে এখানে। এছাড়া সব বয়সী মানুষের জন্যই বই রয়েছে। ৩ থেকে ৬০ বছর বয়সী সবাই মেলায় এসে পছন্দের বই নিতে পারবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সাল থেকেই ভাসমান বইমেলা পরিচালনা করছে জিবিএ শিপ। উদ্দেশ্য, দেশে দেশে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়া। এটি ছাড়াও আরও দুটি জাহাজে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এখন পর্যন্ত ১৫০ দেশ ভ্রমণ করেছে তাদের ভাসমান বইমেলা। মিসরের আগে ছিল লেবাননের বৈরুত বন্দরে, এরপর পাড়ি জমাবে জর্ডানে।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply