প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথামূলক বই ‘স্পেয়ার’ বাজারে আসার আগেই চলে এসেছে দেশ বিদেশের গণমাধ্যমের শিরোনামে। বইটিতে উঠে এসেছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অনেক কথা; যা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই। তার আগে বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে হ্যারি তার বইটি নিয়ে কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সময় সাইকেডেলিক ড্রাগস নেয়ার কথাও এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন ডিউক অব সাসেক্স। খবর ফক্স নিউজের।
গত রোববার (৮ জানুয়ারি) সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ নামক এক অনুষ্ঠানে হাজির হন প্রিন্স হ্যারি। সেখানে তিনি সাইকেডেলিক ড্রাগস গ্রহণের কথা স্বীকার করেন; যার মাঝে ছিল আয়াহুয়াস্কা এবং সাইলোসাইবিনের মতো শক্তিশালী মাদক। হ্যারি জানান, সে সময় মানসিক অবসাদের সাথে লড়তে গিয়েই এসব মাদকের শরণাপন্ন হন তিনি; মাকে হারানোর পর থেকেই যে অবসাদ ঘিরে ধরে ডিউক অব সাসেক্সকে।
হ্যারি বলেন, আমি কখনোই কাউকে বিনোদনের উদ্দেশে এই মাদক গ্রহণের পরামর্শ দেবো না। তবে, আপনি যদি চরম মাত্রায় দুঃখ, শোক ও ট্রমায় ভুগতে থাকেন; সঠিক সঙ্গীদের সাথে এই মাদক গ্রহণ অনেকাংশেই ওষুধের কাজ করতে পারে।
‘স্পেয়ার’ এ হ্যারি বর্ণনা করেছেন কীভাবে তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ‘বিশেষ অনুভূতি’ লাভ করতে কোকেইন সেবন শুরু করেন। সেই সাথে, গাঁজা এবং সাইলোসাইবিন বা, ম্যাজিক মাশরুম গ্রহণের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। এমনকি, নেশার ঘোরে তৈরি হওয়া ভ্রমে হ্যারি নাকি দেখতে পান, টয়লেটও কথা বলা শুরু করেছিল তার সাথে!
ফক্স নিউজ ডিজিটালের কাছে ব্রিটিশ সাংবাদিক জোনাথন সাচেরদোতি বলেন, হ্যারি যে তার ব্যাপক মাত্রায় মাদক গ্রহণের কথা জানিয়েছে, সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বিস্ময়কর লেগেছে। তিনি বইটিতে স্বীকার করেছেন যে, পুত্র আর্চির জন্মের সময় তার স্ত্রীর জন্য ম্যাটার্নিটি বিভাগে যখন থাকতে হয়েছিল তাকে, সে সময়ও গাঁজা, কোকেন, হ্যালুসিনোজেন, এমনকি লাফিং গ্যাসও গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
সাচেরদোতি আরও বলেন, অন্যান্য সেলিব্রিটিরা মাদক গ্রহণের কথা জনসমক্ষে প্রকাশ করার পর তাদের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। নাইজেলা লসন এবং কেট মসও আছেন এই তালিকায়। আমরা হ্যারির ভিসার পরিস্থিতির বিশদ বিবরণ জানি না। তিনি যদি ভিসার আবেদন করেন, এমন সাক্ষাৎকার সে ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: হ্যারির ‘স্পেয়ার’ নামক বোমা, ডায়ানার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন
/এম ই
Leave a reply