চাষী নজরুল ইসলামের অষ্টম প্রয়াণ দিবস আজ

|

চাষী নজরুল ইসলাম (১৯৪১-২০১৫)

ঢাকাই সিনেমায় যে কজন নির্মাতা গুণী সফল হিসেবে বিবেচিত- তাদের অন্যতম চাষী নজরুল ইসলাম। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি এমন কিছু সিনেমা নির্মাণ করেছেন, যেগুলো তাকে দিয়েছে কালোত্তীর্ণের সুযোগ। ঢালিউডের ইতিহাস লিখতে চাইলে এ ইতিহাসের একটা বড় অংশজুড়ে থাকবেন চাষী নজরুল ইসলাম। গুণী এ নির্মাতার অষ্টম প্রয়াণ দিবস আজ।

১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর বিক্রমপুরের শ্রীনগরে জন্ম বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এ কিংবদন্তির। তার নামেরও রয়েছে এক বিশেষ ইতিহাস। নামটি রেখেছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী নেতা শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক। চাষী নজরুল ইসলামের মামা চাষী ইমাম উদ্দিন রাজনীতি করতেন শেরে বাংলার সঙ্গে। সে সুবাদে তিনি চাষীর নাম রাখেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও মামা চাষী ইমাম উদ্দিনের নামের সংযোজনে চাষী নজরুল ইসলাম নামটি রাখেন শেরে বাংলা।

চলচ্চিত্র দুনিয়ায় চাষীর যাত্রা শুরু ১৯৬১ সালে। নির্মাতা ফতেহ লোহানীর সহকারী হিসেবে ‘আছিয়া’ সিনেমায় কাজ করেন তিনি। বছর দশেক সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর পূর্ণাঙ্গ পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

চাষী নজরুল ইসলাম নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’। ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে বিবেচিত। এরপর, একে একে নির্মাণ করেন সংগ্রাম, দেবদাস, বেহুলা-লক্ষ্মীন্দর, হাঙর নদী গ্রেনেড, হাছন রাজা, মেঘের পরে মেঘ, সুভা’র মতো দর্শকনন্দিত ও প্রশংসিত সিনেমা।

নির্মাতা হিসেবে চাষী নজরুল ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন দুইবার। ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ ও ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমা দুটি তাকে এ সম্মাননা এনে দেয়। ২০০৪ সালে চাষী ভূষিত হন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদকে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক কলাকার পুরস্কার, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক, জহির রায়হান স্বর্ণপদকসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি ঢালিউডে এক অপূরণীয় অভাব তৈরি করে চাষী নজরুল ইসলাম চলে যান পরপারে। চলচ্চিত্র জগত হয়ে পড়ে অভিভাবকশূণ্য।  চলে গিয়েও বাংলাদেশের সিনে জগতে তিনি সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply