করোনার বুস্টার ডোজ নেননি হাকিমপুরের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ

|

ফাইল ছবি

দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলায় করোনার বুস্টার ডোজ নেননি অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি থাকলেও সেখানকার মানুষ বেশ উদাসীন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, টিকা নিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

ভারতীয় সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় ১ লাখেরও বেশি মানুষের বাস। সীমান্ত ঘেঁষা আর হিলি স্থলবন্দরের কারণে হাকিমপুরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে স্থলবন্দরেও নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। কিন্তু, এ জনপদে করোনার বুস্টার ডোজ নেয়ার চিত্র খুবই হতাশাজনক। এখন পর্যন্ত করোনার তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৭ হাজার ৭৪৫ জন। যা মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বলেন, এটা দুঃখজনক যে প্রচারণার পরও মানুষ বুস্টার ডোজ গ্রহণে উদাসীন। ১ম ডোজ যতোজনকে দিয়েছি, বুস্টার ডোজ নেয়ার হার তার অর্ধেক।

হিলি স্থলবন্দরে প্রতিদিন শতাধিক ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করে। এছাড়া পাসপোর্টধারী শতশত যাত্রীর যাওয়া-আসাও আছে। শুরুর দিকে টিকা নিতে আগ্রহ থাকলেও; সংক্রমণ কমে যাওয়ায় বুস্টার ডোজ নেননি বহু মানুষ। কেনো টিকা নেননি? জিজ্ঞেস করলে অনেকেই বলছেন, তাদের সময় হয়নি টিকা নেয়ার। ইচ্ছে করেও নেননি অনেকেই। আবার অনেকেই বলছেন, প্রয়োজন মনে করেননি বুস্টার ডোজ নেয়ার!

এদিকে, মানুষকে সচেতন করতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে স্বাস্থ্যবিভাগ।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস আরও বলেন, প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেয়া হয় যে এখনও কাদের কাদের টিকা নেয়া বাকী আছে। পাশাপাশি হাসপাতালের ডাক্তাররাও বহিঃবিভাগের রোগীদের আলাদা করে স্ক্রিনিং করছেন, এছাড়া মাইকিং করে জানানোর ব্যাপারটি তো আছেই।

এদিকে, উপজেলায় চলছে করোনার চতুর্থ ডোজ দেয়ার কার্যক্রমও। এ পর্যন্ত এই দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মাত্র ২৭৬ জন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply