এলসি সংকট ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি: আসন্ন রমজানে সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কায় খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

|

ফাইল ছবি

এলসি সংকট এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে রমজানে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানিতে। অন্যান্যবার এ সময়ের চেয়ে এবার এলসি খোলার হার এবং আমদানি তুলনামূলক কম। আসন্ন রমজানে সরবরাহ ঘাটতির শঙ্কায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। রোজার দু’মাস আগেই নানা অজুহাতে ভোগ্যপণ্যের বাজার এখন থেকেই চড়া।

রমজানে বেশি চাহিদা থাকে ছোলার। সারা বছরে যেখানে লাগে প্রায় ২ লাখ টন, শুধু রমজানের এক মাসেই প্রয়োজন হয় প্রায় ১ লাখ টনের বেশি। মসুর এবং মটর ডালের চাহিদাও বাড়ে এসময়। রমজানের ২-৩ মাস আগে থেকে এসব ভোগ্যপণ্য আমদানির তোড়জোড় চলে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। ব্যতিক্রম নয় এবারও। কিন্তু, এলসি খোলায় জটিলতা নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা। রোজার আগেই যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।

খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা এ প্রসঙ্গে বলেন, গত বছর ছোলা বিক্রি করেছি ২১০০-২২০০ টাকায়। এ বছর সেই ছোলা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩১০০ টাকায়। অথচ বিদেশে প্রতিটা পণ্যের দাম কম।

রমজানে চাহিদা বাড়ে খেজুরেরও। আমদানি কমে যাওয়ায় গত কয়েক মাসে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে রেকর্ড ৫০ শতাংশ। জিরা, লবঙ্গ, শুকনা মরিচসহ বিভিন্ন জাতের মশলার দামও চড়া। পর্যাপ্ত আমদানি না হলে রমজানে আরও বাড়বে বলে শংকা ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জিরার দাম বেড়েছে প্রায় দেড়শ টাকা। আগে জিরার দাম ছিল ৪৫০টাকা, আর এখন ৫৬০-৫৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরেক ব্যবসায়ী বললেন,পণ্যের দাম গতকালের চেয়ে আজ ২০টাকা বেড়েছে। গত পরশুর চেয়ে গতকাল ২০ টাকা বেড়েছিলো,। আজ রাত্রে যদি মাল না ঢোকে তাহলে আগামীকালকেই দাম আরও ২০ টাকা বেড়ে যাবে। এছাড়া, সারের সরবরাহও ঠিকমতো হচ্ছে না, কারণ পর্যাপ্ত এলসি দিচ্ছে না।

ভোগ্যপণ্য আমদানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে ছোট এবং মাঝারি আমদানিকারকদেরও সুযোগ দেয়ার দাবি খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের।খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, বড় কোম্পানিরা এলসি পাচ্ছেন ফলে তারা বাজার নিয়ন্ত্রণেরও সুযোগ পাচ্ছেন। আর যদি সবাইকে সমান সুযোগ দেয়া হয় তাহলে বাজার স্বাভাবিক থাকবে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply