বগুড়া ব্যুরো:
চিকিৎসা অবহেলায় স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বগুড়ার ডলফিন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে সেটি বন্ধ করে দেন।
এসময় শহরের সাতানি বাড়ি এলাকায় ডলফিন ক্লিনিকে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল, সিভিল সার্জন ডা. শামসুল হক, বেসরকারি ক্লিনিক পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব ডা. সামির হোসেন মিশুসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এসময় ক্লিনিকের একটি তলা তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলো। অন্যতলায় কিছু বিছানাপত্র পড়ে থাকতে দেখা গেলেও অন্যান্য সব সরঞ্জাম নিয়ে আগেই সটকে পড়েন ক্লিনিকের লোকজন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল জানান, এই ক্লিনিকে শিশুমৃত্যুর খবর পেয়ে তারা সেখানে যান। কিন্তু দুই তলা জুড়ে থাকা ক্লিনিকে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। প্রায় ৩ ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর ক্লিনিকটি সিলগালা করার আদেশ দেন তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. শামসুল হক যমুনা নিউজকে জানান, অনুমোদন তো পরের বিষয়, অনুমোদনের জন্য আবেদনই করেনি এই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। অনুমোদনহীনভাবে ক্লিনিক পরিচালনা ও ভবন ভাড়া দেয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশনের জন্য বুধবার বিকেলে শহরের ফয়েজুল্বা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিবকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করানো পর অপারেশনের পরপরই অ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসকসহ সব চিকিৎসক বেরিয়ে যান ক্লিনিক থেকে। পরে রাত ৯ টা পেরিয়ে যাবার পরও জ্ঞান না ফেরায় সঙ্গে থাকা স্বজনরা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে দেখতে পান সেখানে নিথর পড়ে আছে সাকিব।
Leave a reply