নেপাল এয়ারক্রাশ: স্বামীর মতো একইভাবে মৃত্যু হলো পাইলটের

|

পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াদা।

নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইনসের যে বিমানটি রোববার (১৫ জানুয়ারি) পোখারায় অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে ৬৮ জন নিহত হয়েছেন সেটির দুই পাইলটের একজন ছিলেন অঞ্জু খাতিওয়াদা। ক্যাপ্টেন কমল কেসির সঙ্গে ওই বিমানটি চালাচ্ছিলেন অঞ্জু। এ দুর্ঘটনায় তারা দুজনই প্রাণ হারিয়েছেন। কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে, ২০০৬ সালে অঞ্জুর স্বামীও মৃত্যুবরণ করেন একইরকম আরেকটি বিমান দুর্ঘটনায়।

২০০৬ সালের ১২ জুন জুমলা এয়ারপোর্টে ইয়েতি এয়ারলাইনসেরই একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান অঞ্জুর স্বামী দীপক পোখারেল। তিনি ছিলেন ওই বিমানটির কো–পাইলট। সেবার দীপকসহ প্রাণ হারান বিমানটির ১০ আরোহী।

স্বামীর এমন দুঃখজনক মৃত্যুর পর পাইলট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অঞ্জু। মৃত স্বামীর স্বপ্নপূরণে পাইলট হতে জোরেসোরে শুরু করেন পড়াশোনা। বিমান চালানো শিখতে যান যুক্তরাষ্ট্রে। স্বামীর মৃত্যুর চার বছর পর শেষ হয় অঞ্জুর বিমান চালনা সম্পর্কিত পড়াশোনা। এরপর, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নেপালে ফিরে তিনি যোগ দেন কাজে। নেপালে ফিরে এটিআর মডেলের বিমান চালিয়ে পেশাজীবন শুরু করেন অঞ্জু। কিন্তু, বিধিবাম! এই এটিআর মডেলের বিমান বিধ্বস্ত হয়েই প্রাণ হারালেন তিনিও।

স্থানীয় গণমাধ্যমকে অঞ্জুর একজন আত্মীয় জানিয়েছেন, পাইলট স্বামী-স্ত্রীর পৃথক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর ঘটনা খুবই কাকতালীয় এবং বিরল।

প্রসঙ্গত, অঞ্জুর স্বামী দীপক পোখারেল প্রথমে নেপালের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার চালাতেন। কিন্ত পরে ইয়েতি এয়ারলাইনসে পাইলট হিসেবে যোগ দেন দীপক। তাদের ২২ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। দীপকের মৃত্যুর পর সুভাষ কে সি নামে কাঠমাণ্ডুর এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন অঞ্জু। অঞ্জু-সুভাষ দম্পতির সাত বছরের একটি ছেলে আছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply