ফরাসি লিগ ওয়ানে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হার দেখলো প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। রেনের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। দ্বিতিয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। তবে, ম্যাচের ৭০ মিনিটে মেসির অবিশ্বাস্য পাসে ফাঁকা বল পেয়ে যান এমবাপ্পে। কিন্তু একা গোলরক্ষককে পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। আর তাতে ১-০ গোলে হারের ক্ষত নিয়ে মাঠ ছাড়ে গালতিয়েরের শিষ্যরা।
রেনের মাঠে লিগে এই নিয়ে সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতে হারের তেতো স্বাদ পেলো প্যারিসের দলটি। আরেক ম্যাচে ড্র করেছে।
রোয়াজন পার্কে রোববার রাতে রেনের মুখোমুখি হয় পিএসজি। ম্যাচের শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রণ রেখে আক্রমণ শানাতে থাকে মেসি-নেইমাররা। অন্যদিকে, কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বেশ কয়েকবার পিএসজির রক্ষণভাগে ভাঙন ধরায় রেনে।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে গোলের জন্য প্রথম শট নিতে পারে পিএসজি। বক্সের সামনে থেকে মেসির বাঁ পায়ের সেই শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ২৮-তম মিনিটে দোন্নারুম্মার দৃঢ়তায় বেঁচে যায় সফরকারীরা। কাছ থেকে কালিমুন্দোর জোরালো ভলি ফিরিয়ে দেন এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক। ৩৮-তম মিনিটে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে লভরো মাইয়ের শটও ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি।
বিরতির আগে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। বক্সের ভেতর মেসির প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় রক্ষণে। প্রথমার্ধে স্বাগতিক গোলরক্ষকের কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি পিএসজি। যার ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দানিলো পেরেইরার জোরালো হেড ফিরিয়ে দেন রেনের গোলরক্ষক। যদিও গোল হলে বাতিলের খাতায় যুক্ত হতো। কেননা অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ম্যাচের ৫৬-তম মিনিটে জোড়া পরিবর্তন আনেন গালতিয়ের। উগো একিতিকে ও নর্দি মুকিয়েলের জায়গায় নামান এমবাপ্পে ও আশরাফ হাকিমিকে।
দুই মিনিট পর আরেকবার পিএসজির ত্রাতা দোন্নারুম্মা। মাইয়ের ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। ৬৫-তম মিনিটে তিনি আর পারেননি। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে সতীর্থের কাট-ব্যাকে বাঁ পায়ের শটে রেনকে এগিয়ে নেন হামারি ত্রাওরে।
পাঁচ মিনিট পর সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপ্পে। মেসির উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। সামনে একমাত্র বাধা গোলরক্ষক, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন তরুণ ফরোয়ার্ড।
৮২-তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে হুয়ান বের্নাতের জোরাল শটে বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান রেনের গোলরক্ষক। ম্যাচে লক্ষ্যে পিএসজির একমাত্র শট এটিই। পুরো ম্যাচে গোলের জন্য পিএসজির সমান ৮টি শট নিয়ে ৬টিই লক্ষ্যে রাখে রেন। এই পরিসংখ্যানেই ফুটে উঠেছে দুই দলের পার্থক্য।
১৯ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লঁস। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে মার্সেই। সমান ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে মোনাকো চারে ও রেন পাঁচ নম্বরে আছে।
/আরআইএম
Leave a reply