বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলে অপ্রতিরোধ্য সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকা ডমিনেটরসকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে পাঁচটি জয় ছিনিয়ে নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা দল।
চট্টগ্রামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা ডমিনেটরস। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি নাসির হোসেনের দলটির। ইনিংসের প্রথম বলেই সৌম্য সরকারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন পেসার রুবেল হোসেন। গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। তবে, দিলশান মুনাবিরা ও উসমান ঘানির ৩২ রানের পার্টনারশিপে কিছুটা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় ঢাকা। কিন্তু স্ট্রাইকার্স স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমের দুই বলে দুই উইকেট পড়লে আবার ব্যাকফুটে চলে যায় ঢাকা।
তবে, দলকে একা টানতে থাকেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। বাকিদের আসা যাওয়ার মিছিলে নাসির ৩ চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৩৯ রান করেন। শেষ দিকে আরিফুল হকের ১৬ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংসের উপর ভর করে ২০ ওভার শেষে ১২৮ রানের পুঁজি পায় ঢাকা ডমিনেটরস। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম এবং আমির, নাজমুল, রুবেল নেন ১টি করে উইকেট।
১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। পাকিস্তানি তরুণ মারকুটে ব্যাটার মোহাম্মাদ হারিস চড়াও হন ঢাকার বোলারদের বিরুদ্ধে। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫২ রান। ২০ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে নাসিরের ডেলিভারিতে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। একই ওভারে হারিসকে সাজঘরে ফেরান নাসির। ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৪৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন হারিস। আরাফাত সানির বলে ১ রানে আউট হন জাকির হোসেন। ৬৩ রানে ৩ উইকেত হারিয়ে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে সিলেটের।
ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে টেনে নিতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। ৯৩ রানে ইমাদ রান আউটে কাটা পড়লে ক্রিজে আসেন থিসারা পেরেরা। ১৭ তম ওভারে তাসকিনের বলে মুশফিক বিদায় নিলে আবারও ছন্দপতন ঘটে সিলেটের। ২৫ বলে ২৭ করেন মুশফিক। শেষ ২ ওভারে সিলেটের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ রান। তবে, থিসারা পেরেরার ক্যামিওতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১১ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন পেরেরা।
এই জয়ে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১টি জয় নিয়ে তালিকার সবার তলানিতে ঢাকা ডমিনেটরস।
/আরআইএম
Leave a reply