স্টাফ রিপোর্টার, যশোর:
যশোরের অভয়নগরে ফরিদ গাজী (২৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারী দুই যুবককে ১২ ঘণ্টার মধ্যে আটক করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার নিহতের ভাই ফারুক গাজী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত ফরিদ গাজী উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামে মসজিদে আরাফাত সংলগ্ন রেলবস্তিতে বসবাস করতেন। সে খুলনার কয়রা উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিন গাজীর ছেলে।
আটক দুই হত্যাকারী হলেন, নড়াইল জেলার নড়াইল সদর উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের সাখাওয়াত মোল্যার ছেলে শান্ত (২১) ও তার বন্ধু একই গ্রামের ছবুর মোল্যার ছেলে সাকিব মোল্যা (২১)।
এ ব্যাপারে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে অভয়নগর থানায় যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) মুকিত সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শান্ত ও সাকিব একটি বার্মিজ চাকু দিয়ে ফরিদকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকুটি বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখে এবং রক্ত মাখা কাপড়গুলো ভৈরব নদীতে ফেলে দেয়।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভৈরব সেতু সংলগ্ন শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেয়াপাড়া গ্রামে সাহারা গ্রুপের সরিষা ক্ষেত থেকে ফরিদ গাজীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ইউএইচ/
Leave a reply