সিলেটে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের হুঁশিয়ারি ব্যবসায়ীদের

|

জ্বালানি তেলের সংকটে সিলেটের তেলের পাম্পগুলো।

সিলেট ব্যুরো:

সিলেটে দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট। পাম্প মালিকরা সিলেটে তেল না পেয়ে ভৈরব থকে নিজস্ব খরচে তেলে এনে একরকম ভর্তুকিও দিচ্ছেন। কিন্ত তাতেও মিটছে না চাহিদা। তাই চাহিদা অনুযায়ী তেল না পেলে আগামী রোববার (২২ জানুয়ারি) থেকে সিলেটে তেল বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ডিপো সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম থেকে নিয়মিত রেলের ওয়াগন না আসায় এমন সংকট তৈরি হয়েছে।

সেচ মৌসুমে সিলেটে প্রতিদিন জ্বালানি তেলের চাহিদা ১০ লাখ লিটার। অথচ মিলছে অর্ধেকেরও কম, মাত্র ৩ থেকে ৪ লাখ লিটার। সরবরাহ কম থাকায় ডিপোগুলোতে গাড়ি পাঠিয়েও পর্যাপ্ত তেল পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা৷ এমনকি বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন ডিপো সংশ্লিষ্টদের সাথেও।

পাম্পগুলো চাহিদামতো তেল না পাওয়ায় স্পষ্ট সংকটের চাপ বোরো চাষে। সেচ দিতে ডিজেলের অপেক্ষা চাষীদের। স্থানীয় ডিলাররাও পড়েছেন বিপাকে।

এদিকে, ব্যবসায়ীরা নেতারা বলছেন, এ জেলায় জ্বালানি তেলের সংকট নতুন নয়। বোরো মৌসুমেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয় বলেও অভিযোগ তাদের।

সিলেট পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশে তেলের অভাব নেই। আমাদের জানামতে দেশে পর্যাপ্ত তেল আছে। ইন্সটিটিউশনের অভাবে সিলেটের ব্যবসায়ীরা নিপীড়িত হচ্ছেন।

পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, এভাবে চলতে পারে না। এভাবে আর আমরা চলতে পারবো না। ঠিকমতো তেল দিলে আমরা পাম্প চালু রাখবো আর না হলে আগামী ২২ তারিখ থেকে সব বন্ধ করে দেবো।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কবে নাগাদ সঙ্কটের সমাধান হবে, সে বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি ডিপো সংশ্লিষ্টরা।

যমুনা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিলেট ডিপোর ডিপো ইনচার্জ সামিট বড়ুয়া বললেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি দেখছি, ওয়াগন সংকটের কারণে চট্টগ্রাম থেকে তেল ঠিকমতো আসছে না। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ীদের চাহিদামতো তেল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিলেট ডিপোর সহকারী ব্যবস্থাপক এ এফ এম মারুফ বলেন, উৎস পর্যায়ে ঠিক না করা হলে কিছুই ঠিক হবে না।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply