নদীর বুকে ঘরবাড়ি হারিয়ে কিছুদিন আগেও যে মানুষগুলো ছিল আশ্রয়হীন, ছিল না মাথা গোঁজার ঠাঁই; আজ তারা হয়েছে জমির মালিক, পেয়েছে আধাপাকা ঘর। প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর আর জমি পেয়ে ভাগ্য বদলেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শতাধিক পরিবারের। কেটে গেছে সকল অনিশ্চয়তা, সংসারে এসেছে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা।
পদ্মায় ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন চার সন্তানের জননী বিজলা বেগম। রিকশাচালক স্বামীর আয়ে খেয়ে না খেয়ে চলতো সংসার। শীত আর ঝড়বৃষ্টিতে পোহাতে হতো অবর্ণনীয় কষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর উপহার রঙিন টিনের আধাপাকা ঘরে রঙিন হয়েছে বিজলা বেগমের সংসার।
রোজি আক্তারের গল্পও কমবেশি একই। স্বামীহীন সংসারে বসতির দুশ্চিন্তা ঘুঁচিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প। নতুন ঠিকানায় তিনিও খুঁজে পেয়েছেন জীবনের দিশা। এক সন্তানকে নিয়ে সেলাইয়ের কাজ করে এখন দিব্যি চলছে তার সংসার।
উত্তরের জনপদে হাড় কাঁপানো শীতের বদলে মুঠো মুঠো উষ্ণতা প্রাপ্তির আনন্দও কম নয়। এক বছর আগে সড়কের পাশে খোলা আকাশের নিচে পলিথিনের খুপড়ি ঘরের দুর্বিষহ জীবন এখন অতীত। সরকারের নেয়া উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সব হারানো এসব মানুষ। উপহারের জমিতে তারা করে নিয়েছে উপার্জনের ব্যবস্থাও। দারিদ্র বিমোচনে তাদের নানাভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সরকার।
গোদাগাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জানে আলম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে উদ্যোগ ও স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নে আমরা সকলেই একসাথে কাজ করছি।
সারাদেশে এখন পর্যন্ত তিন দফায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি পরিবার পেয়েছে ২ শতক জমিসহ বাড়ির মালিকানা। চতুর্থ দফায় আরও ৩৭ হাজার ৩১১টি পরিবারকে বাড়ি দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
/এম ই
Leave a reply