স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে খুন করে বাড়ির মেঝেতে চাপা দিয়ে দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গৃহকর্তাকে। পুলিশ ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত গৃহকর্তা এবং তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রায় মাস দু’য়েক আগে তার স্ত্রী, সাত বছরের পুত্র এবং চার বছরের কন্যাকে খুন করে বাড়ির মেঝেতে পুঁতে রাখেন। এরপর কোনো রকম সন্দেহ ছাড়াই ওই ব্যক্তি গত দু’মাস ধরে ঘরেই বসবাস করছিলেন। নিহত গৃহবধূর পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পর তদন্তে নেমে গত রোববার অভিযুক্তের বাড়ির মেঝে খুঁড়তে শুরু করে পুলিশ।
রতলামের এসপি অভিষেক তিওয়ারি বলেছেন, নিহত গৃহবধূর কয়েকজন আত্মীয় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যদিও অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি স্ত্রী-পুত্র-কন্যার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো রকম অভিযোগ জানাননি। নিহত নারীর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি খুন করার কথা স্বীকার করেন। মৃতদেহগুলি বাড়ির মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এরপর চিকিৎসক এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে মেঝে খুঁড়ে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত জানিয়েছেন যে দাম্পত্য কলহের জেরে রাগের বশে তিনি কুড়াল দিয়ে স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাকে খুন করেছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। দেহগুলি অভিযুক্তের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের কিনা, তা নিশ্চিত করতে আমরা ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্যও নেবো।
ইউএইচ/
Leave a reply